তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মালদহের বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের শেষবেলাতেও অশান্তি অব্যাহত। তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মালদহের বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর এলাকায়। আঙুল উঠেছে কংগ্রেসের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাত শিবির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী মতিউর রহমানের (৪৫) বাড়ি ভগবানপুরের কেবিএস এলাকায়। তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখনই কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অস্ত্র দিয়ে তাঁর পেটে আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ব্যক্তি। ভোটকেন্দ্রের সামনে মারামারিতে অন্তত ছ’জন জখম হয়েছেন। এ নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৪ জনের।
ভোটের শেষ লগ্নেও নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের উদয় পঞ্চায়েতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল প্রার্থী। তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম তৃণমূল প্রার্থীর নাম নুর আমিন মিঁয়া। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তিনি। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই কিছু লোকজন এসে ব্যালট বাক্স লুট করতে যান। শুরু হয় সংঘর্ষ। সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় কেউ গুলি চালান। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নির্বাচনের শেষবেলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের পাশাপাশি রক্ত ঝরল ডেবরাতেও। শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের সত্যপুর অঞ্চলের চকমানু ২ নম্বর বুথে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নির্দলরা। আহত হয়েছেন অন্তত চার জন। তাঁদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে যায় ডেবরা থানার পুলিশ। অন্য দিকে, ভোটগ্রহণের শেষপর্বে হিংসা পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের কাজোড়া অঞ্চলে এক তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি ও বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, বোমার আঘাতে প্রার্থীর ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।