প্রতীকী ছবি।
বন্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করে আজ, বুধবার পথে নামছে না তৃণমূল। জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— অফিসে অবশ্যই যেতে। তবে ঢুকতে গেলে কোনও বন্ধ সমর্থনকারী বাধা দিলে কোনও জোর না গিয়ে ফিরে যেতে পারেন। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, এমনটাই ইঙ্গিত এসেছে রাজ্য থেকে। তৃণমূলের জেলা নেতাদের দাবি, বন্ধ নিয়ে রাজ্য থেকে কোনও নির্দেশই আসেনি। তাতেই জেলায় জেলায় নেতারা বুঝেছেন বন্ধের সক্রিয় বিরোধিতার পথে দল এ বার হাঁটছে না। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “বিজেপির বিরুদ্ধে বন্ধ হচ্ছে। বন্ধ সফল হলে বিজেপির মুখ পুড়বে। তাতে তো আমাদেরই ভাল।”
অতীতে বাম-কংগ্রেসের ডাকা বহু বন্ধে জলপাইগুড়ির রাস্তায় তৃণমূলের বন্ধ-বিরোধী মিছিল বেরিয়েছে ঘনঘন। দোকান-বাজার খোলানো হয়েছে। সরকারি অফিসের সামনে বনধ সমর্থনকারীদের লাগানো পতাকা খুলে নিয়ে তৃণমূল কর্মচারীদের ভিতরে পাঠিয়েছে— এমন ঘটনারও সাক্ষী জলপাইগুড়ি। বিজেপির ডাকা গত বন্ধে তৃণমূলের কর্মীরা সব অফিসের গেট থেকে গেরুয়া পতাকা সরিয়ে দেয়। এ বার তার কিছুই হবে না বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “কাউকে কোনও মিছিল করতে, নির্দেশ দেওয়া হয়নি।”
লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি আসন বিজেপির দখলে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেসের নিচুতলার বহু কর্মী ভোটের সময় বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। এ বার বাম-কংগ্রেসই যৌথ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বন্ধ ডেকেছে। তৃণমূল তার বিরোধিতা করলে বন্ধ সফল হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হত। তাতে বাম-কংগ্রেসের সংগঠন আরও কিছুটা দুর্বল হত বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি। দল মনে করছে, তাতে তাদেরই আখেরে ক্ষতি হবে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, তৃণমূল লোক পাঠিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বন্ধ করাতে চাইছে। সাধারণ মানুষ তা রুখে দেবেন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “দেশ জুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদে বিজেপির কাণ্ডজ্ঞানও লোপ পেয়েছে।” এ দিকে মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধের সমর্থনে বাং, কংগ্রেস দুই পক্ষই সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে জলপাইগুড়ির পথে নামে।
জেলা পুলিশের তরফে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাড়তি বাহিনী নামছে। জাতীয় সড়কে অবরোধ করতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশের দাবি। বিভিন্ন অফিস, প্রতিষ্ঠানে ঢোকার পথ আটকানো হলে বন্ধ সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশের দাবি।