বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পর বিজয় মিছিল তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোচবিহার জেলায় ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত চলে এল তৃণমূলের দখলে। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন দিনহাটা-২ ব্লকের শুকারুরকুঠি, নয়ারহাটগ্রাম, চৌধুরীহাট এবং কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তৃণমূল।
কোচবিহার জেলার ২,৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন আছে। তার মধ্যে ১৫৭টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না। একই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। একই ভাবে জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে একটি আসনে ভোট হচ্ছে না। তাই নির্বাচনের আগেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে আশায় উল্লাসে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কর্মীরা। মঙ্গলবার মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় প্রার্থীদের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কোচবিহারের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূলের প্রার্থীদের গলায় মালা পরিয়ে দেন দলের কর্মীরা। সেই প্রার্থীদের নিয়ে শুকটাবাড়ি এলাকায় একটি মিছিল করে তৃণমূল। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত, নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত, বামনহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত, চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কোচবিহার-১ ব্লকের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।’’
এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলায় ২,৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ১৪৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩ টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনেও ভোটের লড়াই হচ্ছে না। জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে একটি আসনে নির্বাচন হবে না।’’