তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ। — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার থেকে ‘নবজোয়ার যাত্রা’ শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কোচবিহারের ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ৪ পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বুধবার রাতে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সেই সঙ্গে দু’শো তৃণমূল কর্মীও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। যদিও বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীদের ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতারা।
বুধবার দিনহাটার ভেটাগুড়ি বাজারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ভেটাগুড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রতন বর্মণ, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রবীণ বর্মণ, কাকলি বর্মণ এবং সুমিতা বর্মণ। এ ছাড়া দিনহাটা ১ বি ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি চন্দন বর্মণ, কয়েক জন অঞ্চল কমিটির সদস্য-সহ প্রায় ২০০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি। এ নিয়ে নিশীথ বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলার প্রতিটি ব্লকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তথা গোটা পশ্চিমবঙ্গে বহু ভাল তৃণমূল কর্মী রয়েছেন। তাঁদের জন্য আমরা যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তাঁদেরকে আমরা স্বাগত জানাই।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা কোচবিহারের নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘যে পঞ্চায়েত সদস্যেরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই পঞ্চায়েত সদস্যেরা কখনও বিজেপিতে যোগদান করছেন, আবার কখনও তৃণমূলে যোগদান করছেন। তাঁদের জনসমর্থন নেই। ভেটাগুড়ির মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা কোন স্বার্থে দলবদল করছেন তা জানা নেই। হয়তো এমনও হতে পারে যে, তাঁরা আগামিকাল আবার তৃণমূলের শরণাপন্ন হবেন। তবে এ বার তৃণমূল কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।’’
ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল একটি। পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৩ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করায় বর্তমানে তৃণমূল এবং বিজেপির আসনসংখ্যা সমান। বিজেপির দাবি, খুব শীঘ্রই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও কয়েক জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন। ওই পঞ্চায়েত তাঁদের দখলে চলে আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতারা। এর আগে গত ৩ মে সিতাই বিধানসভার গোসানিমারি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের কয়েক জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন।