ভুবনেশ্বরে গিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দেখা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে। ছবি: পিটিআই।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই দিল্লি গেলেন বিজেডি প্রধান তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। চার দিনের দিল্লি সফরে একাধিক সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি, তাঁর কিছু ‘রাজনৈতিক কাজ’ রয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের খবর, কয়েক জন বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নবীন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই গিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং শিবসেনা (বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন নীতীশ। তারই মধ্যে নবীনের এই পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজনৈতিক ভাবে বরাবরই ‘কংগ্রেস বিরোধী’ হিসাবে নবীন পরিচিত। ওড়িশায় বিজেপির পাশাপাশি, কংগ্রেসও তাঁর দলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে তাঁর ‘গতিবিধি’ লোকসভা ভোটে বিজেডির অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়েই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নবীন। ২০০৯ সালে কন্ধমাল গোষ্ঠীহিংসার পরে এনডিএ ছাড়েন তিনি। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ওড়িশায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে নীতীশ এসেছিলেন কলকাতায়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধীদের একজোট করা নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। সে দিনই উত্তরপ্রদেশের লখনউতে গিয়ে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন নীতীশরা। এর পর গত মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরে নবীনের সঙ্গে দেখা করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ। বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে গিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে নীতীশ এবং তেজস্বী বৈঠক করেন।