—নিজস্ব চিত্র।
সালিশি সভায় মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শাসকদলের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। বার বার অসুস্থ হচ্ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যা। সুস্থ হতে এক ওঝার কাছে যান তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই ওঝাই গ্রামের এক মহিলাকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করেন। ওই মহিলার কারণেই পঞ্চায়েত সদস্যা সুস্থ হচ্ছেন না বলে তাঁদের জানান ওঝা। এই নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, এর পরেই গত ২৮ মে রাতে ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও এক প্রতিবেশী মহিলা। অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনায় মালদহের বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘এই ভাবে বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুলিশও নিষ্ক্রিয়।’’ পাল্টা তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘আদিবাসী এলাকায় এই ধরনের প্রথা এখনও আছে। আইন করে যা বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন প্রচারের। তবে যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।’’