মোথাবাড়িতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঝামেলার খবরের মধ্যেই সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দিতে মালদহের মোথাবাড়িতে তৃণমূলের মিছিলে হাতে হাত মিলিয়ে হাঁটলেন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ও গির্জার ফাদার। তাঁদের সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিয়ে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে পা মেলালেন মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় মোথাবাড়ি পিডব্লিউডি মাঠ থেকে। শান্তিপূর্ণ ভাবে তা শেষ হয় অচিনতলায়। মিছিল ঘিরে জোরদার ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। নতুন ওই আইনের প্রতিবাদে মালদহ জেলা জুড়ে আন্দোলন করছে তৃণমূল। ৯-১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন জেলার ১৫টি ব্লকেই মোটরবাইক মিছিল হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে জনসমাবেশ করা হয়। সমাবেশে মূল বক্তা ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর-সহ একাধিক নেতা বক্তব্য রাখেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রবিবার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন দুপুর ২টোয় মোথাবাড়ি পিডব্লিউডি মাঠ থেকে মিছিল বের করে তৃণমূলের মোথাবাড়ি বিধানসভা কমিটি। মিছিলে ছিল সম্প্রীতির আবহ। প্রতিবাদ মিছিলের সামনে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটেন সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর পাশেই হাতে হাত ধরে হাঁটেন মোথাবাড়ি চৌরঙ্গি মসজিদের ইমাম মৌলানা ফারমান আলি, বৈষ্ণবনগর চার্চের ফাদার অ্যালেক্স মিনজ ও ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার দু’টি কালীমন্দিরের পুরোহিত প্রদীপকুমার পাণ্ডে ও সঞ্জয় ঝাঁ। প্রতিবাদ মিছিল প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে শেষ হয় মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার অচিনতলায়।
মৌলানা ফারমান বলেন, ‘‘নতুন আইন ঘিরে মানুষের মনে সংশয় ছড়িয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, তাঁরা এ দেশে থাকতে পারবেন কিনা। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। সম্প্রীতির বার্তা দিতেই আমরা সকলে হাতে হাত ধরে মিছিলে হাঁটলাম।’’