মালদহে এসে গোঁজ প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিলেন ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হয়েও যাঁরা পুর ভোটে গোঁজ প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের লিফলেট বিলি করে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় দল থেকে বহিষ্কার, বুধবার মালদহের ভোট প্রচারে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা মালদহের তৃণমূল পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম।
পুরাতন মালদহের একটি বেসরকারি হোটেলে দলের জেলা কোর কমিটি ও দুই পুরসভার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হযন ফিরহাদ। সেখানে তিনি জানান, প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলে বৃহত্তর স্বার্থেই তা মিটিয়ে ফেলা উচিত। পাশাপাশি, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে যাতে দলের সবাই সমর্থন করেন সেই নির্দেশ দেন ফিরহাদ।
মন্ত্রীর কথায়,নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে বলেছি দলকে। আমি জানি না, কারা এখানে গোঁজ প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কেউ ভোটে দাঁড়াতেই পারেন। কিন্তু তৃণমূল করেন, শুধু টিকিট পাননি বলে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন, দয়া করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিন।’’ একটু থেমে তিনি আবার বলেন, ‘‘এখন মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় নেই। তাই তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে রয়েছেন, এটা জানিয়ে লিফলেট দিন। জানিয়ে দিন, ‘আমাকে ভোট দেবেন না, তৃণমূল প্রার্থীকে দিন’।
উল্লেখ্য, ১০৮ পুরভোটে তৃণমূল ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ মেনে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে। কলকাতা পুরভোটের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, টিকিট না পেলে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো যাবে না। যদিও তার পরে এই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কেউ কাউন্সিলর হবেন, কেউ মেয়র। কিন্তু মনে রাখতে হবে দিনের শেষে কারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হতে পারলেন।’’
অন্য দিকে, দলীয় নির্দেশ না মেনে অন্য দল বা নির্দল প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাতটি পুরসভার মধ্যে পাঁচ পুরসভার ১৫ জন প্রার্থী-সহ মোট ২০ জনকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, খড়গপুর শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি অসিত পাল এবং ক্ষীরপাই শহর তৃণমূলের সভাপতি মনোজ হালদারকেও সরানো হয়েছে।