পার্টি অফিসে ভাঙচুরের চিহ্ন দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। — নিজস্ব ছবি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পর শুক্রবার সিতাইয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার নেতৃত্ব অভিযোগ তুললেন নেতাজি বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
বৃহস্পতিবার, নিশীথ সিতাইয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই সময় রাস্তার পাশ থেকে কালো পতাকা দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছেন নিশীথের আশ্রিত গুন্ডারা। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাইক। এই ঘটনার পর রাত পোহাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ, কোচবিহার জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সিতাইয়ের নেতাজি বাজারে তৃণমূলের অফিসে ভাঙচুর চালায়। সিতাইয়ে উত্তেজনা তৈরি করতেই নিশীথ এসেছিলেন। আজ (শুক্রবার) তিনি মাথাভাঙা এবং শীতলকুচিতে যাচ্ছেন বোম ছুড়তে।’’ এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বৃহস্পতিবার নিশীথ সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন সেটা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সেখানে লাঠি, পাথর নিয়ে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। তাঁরাই হামলা চালায়। আর যে পার্টি অফিস ভাঙচুরের কথা বলা হচ্ছে, সেটা নিজেরাই ভাঙচুর করে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’
সব মিলিয়ে অমিত শাহের ডেপুটির সিতাই সফরের ২৪ ঘণ্টা পরও উত্তেজনা কমার নাম নেই।