এ বার রেকর্ড ভিড়ের আশা করছেন সরকারি কর্তারা। — ফাইল ছবি।
বছর ঘুরলেই গঙ্গাসাগর মেলা। আর সময় বেশি নেই। মেলা ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার, সেই প্রস্তুতিই সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে ছিলেন, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত-সহ পদস্থ সরকারি আধিকারিকরা।
শুক্রবার প্রথমে লঞ্চে করে নামখানার বেনুবন পয়েন্টের কাজকর্ম ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। সেখানে কয়েকটি অস্থায়ী জেটি পরিদর্শনের পর তাঁরা চলে যান গঙ্গাসাগরে মেলার মাঠে। কপিলমুনি মন্দিরের সামনের ২ নম্বর রাস্তাটি ভাঙনের মুখে। ভাঙন কবলিত সেই এলাকাও পরিদর্শন করেন পার্থ। ভাঙন রোধে আধুনিক ‘টেট্রাপট’ পদ্ধতিতে বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
গঙ্গাসাগর মেলার মাঠ ধুরে দেখছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। নিজস্ব চিত্র।
মেলা শুরুর আগেই সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন পার্থ। ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের থেকে বাঁধ নির্মাণের সর্বশেষ অগ্রগতি জেনে নেন মন্ত্রী ও জেলাশাসক। পরে মন্ত্রী পার্থ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য, সাগরে আসা কোনও পুণ্যার্থীকেই যেন সামান্যতম সমস্যাও ভোগ করতে না হয়। তাই ইতিমধ্যেই মেলার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থাপনা রাখা হচ্ছে। সেই কাজই আজ সবাই মিলে খতিয়ে দেখলাম।’’
জেলাশাসক পরে বলেন, ‘‘গত দু’বছর করোনার কারণে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মেলা হয়েছিল। এ বার কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ব্যাপক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই পুরোদমে মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এ বারের মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হবে।’’