পোস্টারে ছয়লাপ বাঁকুড়ার কোতুলপুর।
দলীয় পদ দরকার নেই। অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। এই মর্মে শাসক দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার এক নেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায়। অভিযোগ, ব্লক ও অঞ্চল সভাপতির পদ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছেন সঙ্গীতা মালিক নামে ওই নেত্রী। কিন্তু দলীয় পদ মেলেনি। পোস্টারে হুঁশিয়ারি— পাঁচ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে বিষয়টি দলের রাজ্য সভাপতিকে জানানো হবে। এ নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি সঙ্গীতা। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর নামে কুৎসার অভিযোগ তুলে কোতুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের গরুহাটতলা এলাকায় স্থানীয়দের নজরে আসে ওই পোস্টার। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখা হয়েছে পোস্টারের বয়ান। কিন্তু কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তার কোনও উল্লেখ নেই। অভিযোগ করা হয়েছে, কোতুলপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সঙ্গীতা পোস্টারদাতাদের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই পদ দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে তরুণ নন্দীগ্রামী ও কৌশিক বটব্যাল নামে দুই ব্যক্তি ওই পদ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পোস্টারে।
পোস্টারদাতাদের বক্তব্য, তাঁরা আর ওই দলীয় পদ চান না। টাকা ফেরত দিতে হবে তাঁদের। পোস্টারে লেখা, ‘‘আমরা অঞ্চল সভাপতি হতে চাই না। টাকা ফেরত চাই। পাঁচ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আমরা রাজ্য সভাপতিকে জানাব।’’
এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কোতুলপুর বাজার এলাকায়। এ বিষয়ে সঙ্গীতা সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে না চাইলেও পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনাটিকে ‘কুৎসা ও অপবাদ’ বলে দাবি করেছেন ওই নেত্রী। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও মুখ খুলতে চাইছেন না। কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছেন, তার উল্লেখ না থাকায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না শাসক দল। জেলার এক নেতার কথায়, ‘‘ওই পোস্টার কে বা কারা দিয়েছেন, তার কোনও উল্লেখ নেই। তাই, ওই পোস্টারকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’’