Cooch Bihar

তিলক ও মালা, ভোট ভিক্ষায় নতুন ‘রূপে’ তৃণমূল নেতারা

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে দলের বিধায়ক উদয়ন গুহ ময়দানে নেমেছেন। রবিবারই এক কীর্তনের আসরে গিয়ে গায়ে নামাবলি জড়িয়ে তিলক পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০২
Share:

ধর্মেকর্মে: শহরে একটি কীর্তনের আসরে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র

কারও কপালে তিলক। কারও গলায় গাঁদা ফুলের মালা। এবার নয়া এই বেশে ময়দানে নামছে তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কেরা। রাজনীতির ময়দানে জল্পনা, ভোটের বাজারে বিজেপির সঙ্গে টক্কর নিতেই তৃণমূলের এটা কৌশল।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে দলের বিধায়ক উদয়ন গুহ ময়দানে নেমেছেন। রবিবারই এক কীর্তনের আসরে গিয়ে গায়ে নামাবলি জড়িয়ে তিলক পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ওই দিনই এক ধর্মীয় সভায় গিয়ে গাঁদা ফুলের মালা পরে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল উদয়নকে। দেখেশুনে অবশ্য, বিজেপির কটাক্ষ, এসব লোক দেখানো।

রবীন্দ্রনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি আট-দশ বছর বয়স থেকেই কীর্তন গানের সঙ্গে জড়িত। ছোটবেলায় পাড়ার সবাই মিলে কীর্তনের আয়োজন করতেন তাঁরা। এখনও তাই প্রত্যেক বছরই কীর্তনের আসরে যোগ দেন তিনি। তাঁর কথায়, এবারেও ইতিমধ্যেই দশটিরও বেশি জায়গায় কীর্তনের আসরে গিয়েছেন। সোমবারেও তিনি চিলাখনা ও ডাউয়াগুড়িতে যোগ দেন। তিনি বলেন, “সম্প্রদায় নিয়ে ভাগাভাগি করে বিজেপি। আমরা নিজের ধর্ম যেমন মানি ও পালন করি, তেমনই অন্য ধর্মকেও সম্মান করি। আর সব থেকে বড় কথা মানুষকে ভালবাসা।”

Advertisement

উদয়নকেও একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। শনিবারেই তাঁকে এক ধর্মীয় সম্মেলনে দেখা যায়। এ ব্যাপারে তিনি সোমবার বলেন, “সম্প্রদায় নিয়ে রাজনীতি আমরা করি না। সবার অনুষ্ঠানে যোগ দিই। সব চেয়ে বড় কথা, মানুষের পাশে আছি এবং থাকব।”

রামনবমী থেকে রথযাত্রা। একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় বিজেপি নেতাদের। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে জয়ের পরে বিজেপির সেই গতিবিধি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির হয়ে ময়দানে নামে সঙ্ঘ পরিবারও। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। বিশেষ করে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কেউই তৃণমূলের পাশে নেই বলেও প্রচার শুরু হওয়ায় কিছুটা হলে উদ্বেগে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই ঘর কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার পরে সেই ‘ঘাটতি’ ঢাকতেই ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শীতে জেলা জুড়েই নানা জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে। সেইগুলিকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। শুধু ওই দুই নেতা নয়, জেলার আরও একাধিক বিধায়ক-নেতাকেও দেখা যাচ্ছে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ব্লক ও অঞ্চলের তৃণমূল নেতাদেরও এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সংখ্যালঘুদের তোষণের রাজনীতি তৃণমূল বরাবর করছে। আসলে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কারও কোনও উন্নয়ন করেনি। এখন মানুষ সরে গিয়েছে দেখে লোক দেখানো নানা কাজ করছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement