—ফাইল চিত্র।
গঙ্গারামপুরের নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িমুখো হচ্ছে না তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় স্তরে বিক্ষোভের মুখে পড়ার অস্বস্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যেই মতান্তর তৈরি হয়েছে বলে খবর।
বিজেপি শিবির এই ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব। নির্যাতিতার বাড়িও ঘুরে এসেছেন বিজেপির দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদার। যদিও তাঁদের আগেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায় নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে থানাও ঘেরাও করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে তৃণমূলের আর কাউকেই এই বিষয় নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, গঙ্গারামপুরে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও শাসক দল হিসেবে কেন এই উদাসীনতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্ব জেলার অন্য বিধায়ক থেকে মন্ত্রীদের মৌখিক ভাবে ওই নির্যাতিতার বাড়িতে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, ওখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলে দলের অস্বস্তি আরও বাড়বে। তাছাড়া, বিজেপি জোরদার আন্দোলনে নামার পর নির্যাতিতার পরিবারকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করায় তৃণমূল কার্যত আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এই কারণেই এখন এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। দলের অন্য একটা অংশের আবার দাবি, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দলমতনির্বিশেষে এই অবস্থায় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই উচিত। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেও দলের নেতাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না। এই উদ্দেশেই প্রথমে গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের সত্যেন রায় নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং থানা ঘেরাও করেছিলেন।
এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যদিকে, তপনের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, ‘‘আমাদের জেলা নেতৃত্ব মৌখিক ভাবে বলেছেন নিজের নিজের এলাকা ছেড়ে কেউ অন্যের বিধানসভায় যাবেন না। তাই আমি যাইনি। যদিও এমন নৃশংস ঘটনার পরে আমার যাওয়া উচিত ছিল। জেলার একজন বিধায়ক তথা মন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আমার পালন করা উচিত ছিল। বিষয়টি আমি নেতৃত্বকে জানাব। তাঁরা যদি অনুমতি দেন তাহলে নিশ্চয়ই যাব।’’ অন্য দিকে, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সাহায্যও দেব।’’