কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ফাইল চিত্র ।
আসন্ন পুরনির্বাচনের আগে ইংরেজবাজার পুর এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে জোরকদমে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। তাই মালদহ জেলা পরিষদের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে পুর এলাকার কোঅর্ডিনেটর ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার বেঠকের ডাক দেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদহের তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সিও। তবে এই সভা থেকে বাদ গেলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। জেলা কমিটির আয়োজিত এই সভায় তিনি নাকি ডাকই পাননি। তিনি বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়াতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে শোচনীয় ফল করেছিল তৃণমূল। ২২টি ওয়ার্ডে তুলনামূলক ভাবে ভাল ফল করে বিরোধী গেরুয়া শিবির। দীর্ঘ ১০বছরের বেশি সময় ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তাই এই খারাপ ফলের জন্য উচ্চ নেতৃত্ব তাঁকেই দায়ী করেছেন বলেও কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দুর দাবি, সভার কোনও আমন্ত্রণই তিনি পান নি। তিনি বলেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন এবং কাজকর্ম করেছেন। তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনি আগন্তুকের মত বৈঠকে যাবেন না বলেও তিনি জানান।
যদিও জেলা সভাপতি আব্দুরের দাবি, কৃষ্ণেন্দুকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অসুস্থতার কারণেই কৃষ্ণেন্দু বৈঠকে হাজির হতে পারেননি।
বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য পুরো এলাকায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা। তিনি বলেন, পুরসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
তবে তৃণমূলের এই বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এই সব গন্ডগোল হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন, বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষের।