জেলায় পা রেখেই নেতাদের নিয়ে বৈঠকে চলে যান মমতা। নিজস্ব চিত্র।
জেলায় পা রেখেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কোচবিহারে এসেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক বসেন তিনি। দীর্ঘ বৈঠকে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর কড়া বার্তা দেন নেত্রী। নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে সবাইকে একজোট হয়ে কাজের নির্দেশ মমতার।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন-এর নেতা অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানের এক দিন আগেই কোচবিহারে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যায় কোচবিহারর তৃণমূল। এমন এক এক বিধায়ক ও নেতাদের অনুগামীর সঙ্গে অন্যদের ঠোকাঠুকি লেগেই রয়েছে। মাঝে মাঝেই সেসব খবরের শিরোনামে চলে আসে। মাস কয়েক আগেই বহিষ্কৃত হয়েছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন।
মঙ্গলবার তাই কোচবিহারে সার্কিট হাউসে ঢুকে প্রথমেই জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। সূত্রের কবর, কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক উদয়ন গুহ, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নেত্রীর কড়া নির্দেশ, দলীয় কোন্দল মিটিয়ে নিতে হবে। নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলেছেন তিনি। এমনকি এ-ও জানান, দলের পাশে রয়েছেন মানুষ। কিন্তু নেতৃত্বই নিজেদের মধ্যে ঠিক নেই! আগামী দিনে সবাইকে এক সঙ্গে চলতে হবে বলে নির্দেশ দেন।