দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করার অভিযোগ উঠল নকশালবাড়ির ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি নবীন দাস ওরফে বাপ্পার বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটিকে বাপ্পা এবং তার স্ত্রী প্রচণ্ড মারধর করে বলেও অভিযোগ। তার জেরে শনিবারই ওই ছাত্রী গায়ে আগুন দেয় বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ ওঠার পরেই রবিবার অভিযুক্তকে সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূল নেতারা। দার্জিলিঙের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘বাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তল্লাশি চালাচ্ছি।’’
দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিকাশ সরকার বলেন, ‘‘একটি বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে এরকম ঘটনায় একজন তৃণমূল নেতার নাম জড়ানো খুবই দুঃখজনক। আমরা ওকে সাসপেন্ড করেছি। আইন আইনের পথে চলবে।’’ যুব নেতারা মেয়েটির পরিবারের পাশে রয়েছে বলে দাবি করেন। পুলিশ জানায়, নকশালবাড়ি থানা এলাকায় একটি বাড়িতে দিদি এবং বাবা মায়ের সঙ্গে এক বছরের কিছুটা বেশি সময় ভাড়াবাড়িতে রয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। শনিবার তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে নকশালবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তারপর শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে, তার শরীরের ১৫ শতাংশ জ্বলে গিয়েছে। তবে মুখ এবং শরীরের সামনের দিকের অংশ জ্বলে যাওয়ায় এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। নজরদারি চলছে।
মেয়ের মায়ের অভিযোগ, বাপ্পাদের বাড়িতেই আরও কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকত তাদের পরিবার। নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতা ফুঁসলিয়ে একাধিকবার সহবাস করে বলে অভিযোগ। মেয়ের মা বলেন, ‘‘এ সব বাপ্পাকে বলতে গেলে তার স্ত্রী মীরা এবং বাপ্পার মা মমতা এসে আমার মেয়েকে মারধর করে। তারপরেই আমার মেয়ে গায়ে আগুন দেয়। আমি ওদের কড়া শাস্তি চাই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন বাপ্পা এবং তাঁর স্ত্রী মীরার ফোন বেজে গিয়েছে। তাদের এসএমএস করেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা যায়নি বাপ্পার মা মমতার সঙ্গেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতেই শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত বাপ্পা কে। তাকে নকশালবাড়ি থানায় জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে।