তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল মালদহের গাজল। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহের গাজোলে পঞ্চায়েত সমিতির উপসমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ। দু’পক্ষের মারপিটে আহত উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েক জন।
মালদহের গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৪৫টি। এর মধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছে ২৪টি আসন। বিজেপি ১৮টি, কংগ্রেস ২টি ও নির্দল একটি আসন পায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোজাম্মেল হোসেন। শুক্রবার ছিল স্থায়ী সমিতি গঠনের দিন। কে হবে স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তা নিয়ে তৃণমুলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি। এর পর পুলিশের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মারপিট। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মারামারির ঘটনায় তিন জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যার জেরে দু’টি উপসমিতি গঠন করা গেলেও বাকিগুলি তৈরি করা যায়নি।
দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল সর্বজনবিদিত। আমরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে দেখছি, টিকিট পাওয়া থেকে সমস্ত কিছু টাকার বিনিময়ে হয়েছে। আজ (শুক্রবার) গাজলের পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে তৃণমূলের আসল রূপ দেখা গেল। টাকার সিন্দুকের দখলদারি কে করবে, তা নিয়েই কাড়াকাড়ি। এরা মানুষের উপকারে নেই, উন্নয়নেও নেই।’’
মুখে গোলমালের কথা মানতে না চাইলেও মারপিটের ছবি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে মালদহের তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় ব্লক গাজোল। সেই ব্লকে তৃণমূল ভাল ফল করেছে। যে সময় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাছা হয়েছিল, সেই সময়ও বিজেপি ও বিরোধী দল ষড়যন্ত্র করেছিল। দল যাঁদের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করে দিয়েছে, তাঁরাই হবেন। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব তৃণমূলকে নিয়ে একটা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা আছে কঠোর হাতে অশান্তি দমন করতে। দলের যা সিদ্ধান্ত সেই অনুযায়ী কাজ হবে।’’