রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণেন্দু দে’র নির্বাচনী প্রচারের একাধিক ফ্লেক্সে কালি লেপে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের একাধিক পতাকাও ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জের চণ্ডীতলা এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের শতাধিক কর্মী সকাল ১০টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা রায়গঞ্জ-বালুরঘাট ১০(এ) রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
রায়গঞ্জ থানার আইসি শান্তনু মিত্র বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পূর্ণেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘প্রচারে ব্যস্ত রয়েছি। দলের তরফে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে খুব শীঘ্রই অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’
পূর্ণেন্দুবাবুর অভিযোগ, নির্বাচনের মুখে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে শনিবার গভীর রাতে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের একদল কর্মী বাইক নিয়ে চণ্ডীতলা এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। অভিযুক্তরা তাঁর সমর্থনে ওই এলাকায় একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে লাগানো দুটি নির্বাচনী প্রচারের ফ্লেক্সে কালি লেপে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর ও তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কালি লেপে দেওয়া হয়। এরপর অভিযুক্তরা ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো প্রায় ২৫টি দলীয় পতাকা ছিঁড়ে রাস্তার ধারে ছড়িয়ে দেয়।
পূর্ণেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘বাসিন্দারা উন্নয়নের স্বার্থে আমাকেই সমর্থন করবেন।’’ তাই কংগ্রেস প্রার্থীর হারের আঁচ পেয়ে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কর্মীরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারের একাধিক ফ্লেক্স ও দলীয় পতাকা নষ্ট করে দিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পালের পাল্টা দাবি, বাসিন্দাদের সহানুভূতি পেতে তৃণমূলের কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী প্রচারের ফ্লেক্স ও দলীয় পতাকা নষ্ট করে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার শুরু করেছেন।