কোথাও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের তুলে নিয়ে গিয়ে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টা। কোথাও বা শাসক দলকে ভোট না দেওয়ায় রাস্তার ফেলে মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল ইসলামপুর মহকুমায়। সোমবার সকালে যেমন চোপড়ায় বিরোধী কংগ্রেস, সিপিএম সদস্যদের অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটল। তেমনই, গোয়ালপোখরে বিজেপি নেতাকে মারধর করা হল বলে অভিযোগ। চোপড়ার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩। সিপিএমের দখলে ১০। বাকি ১৩টি দখল করেছিল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে দল বদল করে সাতজন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেয়। কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায়ের অভিযোগ, ‘‘এলাকাতে জোর করেই গ্রামপঞ্চায়েতটি দখল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আগে জোরজবরদস্তি, হুমকি হয়েছে। এ বার অপহরণ করা হল। এলাকার মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায়।’’ চোপড়ার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদূল রহমানের। তাঁর দাবি, ‘‘ওঁরা নিজেরাই দলে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছিল। হোটেল তাঁদের পরিবারের লোকেদের চাপ শুরু করে। তাই পুলিশ এসে ওদের নিয়ে গিয়েছে। এতে আমাদের কিছু নেই।’’ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রবিবারই গোয়ালপোখরে ফিরেছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। দিনভর গোয়ালপোখরের প্রতিটি এলাকা ঘুরে এলাকার লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ‘‘গোয়ালপোখরের ভোটের সময় বা ভোট পরবর্তী কোনও গন্ডগোল হয়নি। ব্যক্তিগত কারণে কারও সঙ্গে গন্ডগোলকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ তৃণমূলের গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটনের দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির ভাই গোলাম রসুল বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের উপর মিথ্যা অভিযোগ করছে। গোয়ালপোখরে এলাকার লোকেরা শান্তিপ্রিয় ভোটের আগে পরে কোন গন্ডগোলই এলাকাতে হয়নি।’’ গোয়ালপোখরের ওসি অভিজিৎ দত্ত জানান, মারধরের একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই হিসেবে তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।