সোশ্য়াল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের পোস্ট। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির তরজা। একটি ভাইরাল আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) কপি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
কোচবিহার জেলার রাজবংশী ভাবাবেগ কাজে লাগাতে প্রত্যেকটি নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক ঠিক রাখতে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাজবংশীদের জন্য নারায়ণী সেনা গঠন করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও নারায়ণী সেনা গঠন হয়নি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরি করা হয়েছে।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আরটিআই এর কপি পোস্ট করেন। তাঁর দাবি, অসমের একজন অধ্যাপক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি আরটিআই করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, ভারতীয় সেনায় নারায়ণী রেজিমেন্ট তৈরি করার কোন পরিকল্পনা আছে কি না? নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট তৈরির বিষয়ে কেউ কোনও দিন প্রস্তাব করেছে কি না, আদতেও এধরনের করা সম্ভব কি না? এর উত্তর জানানো হয়েছে, কেউ কোনও প্রস্তাব কখনও দেয়নি? এ ধরনের কিছু পরিকল্পনা নেই।
পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং বিজেপি নেতৃত্বেরা সাধারণ মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছে। তাংরা নারায়ণী সেনা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরি করেছেন।’’
বিজেপি-র পক্ষ থেকে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি নিজেই নিজেকে হাস্যকর করছেন। নারায়ণী রেজিমেন্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন চিঠির কথা বলছেন, তা জানা নেই। সকলে দেখেছে নারায়ণী সেনা নিয়ে আমাদের সাংসদ সংসদে প্রস্তাব রেখেছেন। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনেকবার কথা বলতে শুনেছি। তৃণমূল নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরি করেছে। যেটা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করছেন। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের মানুষকে কেউ যদি ভাঁওতা দিয়ে থাকে তো সেটা তৃণমূল।’’