Alipurduar

চাই পুরো লকডাউন, দাবি উঠল তৃণমূলেই

স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর পর পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরা বেড়ে যেতেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৬:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

তৃণমূলের অন্দর থেকেই এ বার পূর্ণ লকডাউনের দাবি উঠল আলিপুরদুয়ারে। দলীয় সূত্রের খবর, জেলা জুড়ে অন্তত পাঁচ থেকে সাতদিন পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করতে দলের আলিপুরদুয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রেখেছে। প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর পর পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরা বেড়ে যেতেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। পরে লকডাউন শিথিল হলে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১৬। সবচেয়ে বেশি ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন ফালাকাটা ব্লকে। এছাড়া, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে ৪৪ জন ও মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকে ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবে আলিপুরদুয়ার শহরেও ইতিমধ্যে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে সম্প্রতি এক বৃদ্ধের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।

করোনা রুখতে পাশের দুই জেলা শহর জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে লকডাউন চলছে। আজ, সোমবার থেকে আটদিনের জন্য কোচবিহারে পূর্ণ লকডাউন বাড়ানো হল।

Advertisement

সূত্রের খবর, এখন থেকে আলিপুরদুয়ার শহর ও শহরতলিতেও সপ্তাহে একদিন, মঙ্গলবার করে ওষুধের দোকান বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত দোকানপাট ও বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২৮ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে প্রশাসনও। কিন্তু শুধু এইটুকু পদক্ষেপে সংক্রমণ কতটা ঠেকানো যাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

তাই শুধু শহর নয়, গোটা জেলাতেই লকডাউন চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “পাশের জেলা কোচবিহারে করোনা অনেকটাই ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের জেলায় অন্তত পাঁচ থেকে সাতদিন পূর্ণ লকডাউন করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। প্রশাসনের সঙ্গে মৌখিক কথাও হয়েছে। প্রশাসন এখন তাদের মতো করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।” জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনাও বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর সমেত বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement