পরিবেশ বাঁচাতে পা চলছে প্যাডেলে

জ্যোতিষ্কের বাবা নীতিশকুমার বিশ্বাস স্কুলশিক্ষক। বাড়িতে মা, বাবা ও দিদি রয়েছে। তিনি জানালেন, চলতি বছরের ২০ মে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। পরিবেশকে বাঁচানোর বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যে ঘুরেছেন দিল্লি, আগ্রা, জম্মু-কাশ্মীর, নেপাল, ভুটান।

Advertisement

বিল্টু সূত্রধর

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০০
Share:

আরোহী: সাইকেল চেপে জ্যোতিষ্ক। নিজস্ব চিত্র

পরিবেশ রক্ষার ভাবনা থেকেই সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপর সাতটি রাজ্য ও দু’টি দেশ ঘুরে এসে পৌঁছলেন তিস্তার পাড়ের শহর জলপাইগুড়িতে। আদতে নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা জ্যোতিষ্ক বিশ্বাসের লক্ষ্য সবুজ ভারতবর্ষ গড়ে তোলা। সেই বার্তা ছ়়ড়িয়ে দিতেই তাঁর সাইকেল ভ্রমণ বলে জানালেন তিনি। পরিবেশ বাঁচাতে সাইকেল যাতায়াত ও প্লাস্টিক বর্জনের বার্তাও দিচ্ছেন জ্যোতিষ্ক।

Advertisement

জ্যোতিষ্কের বাবা নীতিশকুমার বিশ্বাস স্কুলশিক্ষক। বাড়িতে মা, বাবা ও দিদি রয়েছে। তিনি জানালেন, চলতি বছরের ২০ মে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। পরিবেশকে বাঁচানোর বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যে ঘুরেছেন দিল্লি, আগ্রা, জম্মু-কাশ্মীর, নেপাল, ভুটান। শুক্রবার জ্যোতিষ্ক বলেন, ‘‘এখান থেকে সিকিমের উদ্দেশ্য রওনা দেব।’’ ঘোরার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১৬ জুলাইয়ে লেহ থেকে খারডুংলা পাস পর্যন্ত ৩৭ কিমি দুর্গম রাস্তা, ১৮,৩৮০ ফুট উচ্চতা। অতটা পথ সাইকেলে চেপে যেতে সময় লেগেছে আট ঘণ্টা।’’ তিনি জানান, অনেক দেশেই সাইকেল চেপে যাতায়াতের আলাদা রাস্তা রয়েছে। কিন্তু এখান তা নেই, কলকাতাতেও সাইকেল চালানোর আলাদা লেন নেই। জ্যোতিষ্ক বলেন, ‘‘আমি চাই সাইকেলের জন্য আলাদা রুট করা হোক। আজকে সকলের বাড়িতে দু-চারটে মোটরবাইক রয়েছে। কিন্তু কাছে কোথাও যেতে হলে বাইক ব্যবহার করা হয়। তার বদলে সাইকেল ব্যবহার করলে পরিবেশ বাঁচবে ও নিজের শরীরও সুস্থ থাকবে।’’ অনেক সময় পাহাড়ে দেখা যায় গাড়ি থেকে খাবারের অবশিষ্ট খাদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাতেও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেসব বন্ধ করার জন্য সচেতনতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। সাইকেল শুধু একটি বাহন নয়, এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে আছে অনেক গল্প যা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে এর ব্যবহারও জরুরি বলে জানাচ্ছেন বয়স্ক বাসিন্দারাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement