ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় উদ্যান। যেখানে হাতি, গন্ডার, বাইসন, হরিণ, চিতাবাঘ থেকে শুরু করে নানা ধরণের বন্যপ্রাণীদের বাস। অথচ, তাদের চিকিৎসায় অন্যতম ভরসা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাণী বিশেষজ্ঞ!
একদিন-দু’দিন নয়। প্রায় দেড় বছর ধরে জলদাপাড়া কোনও পশু চিকিৎসক নেই বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় চারদিনে পরপর পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যুর জেরে জলদাপাড়া-সহ উত্তরের প্রতিটি জঙ্গলে স্থায়ী প্রাণী চিকিৎসক নিয়োগের দাবি উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে এই জঙ্গলগুলিতে কখনও কোনও বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হলে তার দেহের নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গে একটি সরকারি ল্যাবরেটরি তৈরির দাবিও তুলেছেন এখানকার পরিবেশপ্রেমীরা।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ, সোমবারই জলদাপাড়ায় স্থায়ী প্রাণী চিকিৎসকের কাজে যোগ দেওয়ার কথা। বন দফতর সূত্রের খবর, একইসঙ্গে আজ কলকাতায় বন দফতরের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে জলদাপাড়ায় পর পর গন্ডার মৃত্যুর বিষয়টি তো বটেই, তার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণীদের দেহের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি তৈরির বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে আর্জি জানানো হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চারদিনে জলদাপাড়ায় পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যু হয়। যেগুলি প্রত্যেকটিই স্ত্রী গন্ডার। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ হিসাবে অ্যানথ্রাক্সকেই সন্দেহ করছিল বিভিন্ন মহল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় অ্যানিম্যাল রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট দফতরের তরফে বন কর্তাদের জানান হয়, অ্যানথ্রাক্সের জন্য কোন গন্ডারের মৃত্যু হয়নি। ফলে এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে যে, চারদিনে মৃত পাঁচটির মধ্যে প্রত্যেকটিই যেহেতু স্ত্রী গন্ডার, জিন-ঘটিত বা অন্য কোনও সমস্যা নেই তো?
আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এআরডি দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ জলদাপাড়ার বনকর্তাদের একাংশ। তাদের একজনের কথায়, পর পর গন্ডার কেন মারা যাচ্ছে সেটা আমরা এআরডি-র থেকে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা সেই উত্তর না দিয়ে জানাচ্ছে যে অ্যানথ্রাক্সের কারণে গন্ডারদের মৃত্যু নয়। অথচ, কী কারণে গন্ডারদের মৃত্যু সেটাও তাঁরা পরিষ্কার করছেন না।