Pradhanmatri Awas Yojona

আবাস তালিকায় প্রধানের স্বামী, শাশুড়ির নাম, বিতর্ক দানা বাঁধল মালদহের চাঁচলে

পাকা বাড়ি, অথচ আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাস্তারা খাতুনের স্বামী হবিবুর সাত্তার এবং তাঁর শাশুড়ি উমেজান বেওয়ার। আর এ নিয়েই বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৫
Share:

এই বাড়িতেই থাকেন চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাস্তারা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।

আবাস যোজনার তালিকায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং শাশুড়ির নাম। আর এই অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুরে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল স্বজনপোষণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য নন, এমন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকলে তা বাদ যাবে। দল কাউকে এই ধরনের কাজ করার পরামর্শ দেয়নি বলেও জানিয়েছেন চাঁচলের জোড়াফুল শিবিরের নেতারা।

Advertisement

পাকা বাড়ি, অথচ আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাস্তারা খাতুনের স্বামী হবিবুর সাত্তার এবং তাঁর শাশুড়ি উমেজান বেওয়ার। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধান মাস্তারার দাবি, ২০১৮ সালে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় দলের কোনও কর্মী তালিকায় ওই দু’জনের নাম পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে এই যোজনায় কখনও আবেদন করেননি বলেও জানিয়েছেন মস্তারা। নাম দু’টি বাদ দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মাস্তারার স্বামী হবিবুর সাত্তার বলেন, ‘‘২০১৮ সালে একটি তালিকা হয়েছিল। তাই কোনও ভাবে নাম চলে এসেছে। নাম বাতিলের জন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছি। এটা ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি কখনও ঘরের জন্য আবেদন করিনি।’’

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ ঘর পাচ্ছেন না। অথচ তৃণমূলের নেতানেত্রীরা স্বজনপোষণ করেছেন। আমরা এঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।’’

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ নিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘ঘর পাওয়ার যোগ্য নন, এমন কারও নাম তালিকায় থাকলে বাদ যাবে। দল কাউকে এই ধরনের কাজ করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’

চাঁচল ১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি নাম বাতিল করার জন্য কোনও চিঠি পাননি। তিনি বলেন, ‘‘তালিকায় নাম রয়েছে, তা দেখেছি। কী করে নাম নথিভুক্ত হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement