Jalpaiguri

৫৪ পদ ভরাতে মাত্র ২৪ নেতা

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

পদ রয়েছে ৫৪টি, তাতে বসানো হয়েছে ২৪ জন নেতা-নেত্রীকে। কেউ কেউ পাঁচ বা ছ’টি পদও পেয়েছেন। জলপাইগুড়ির জেলার বিভিন্ন স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান এবং শিক্ষানুরাগী হিসেবে সরকার মনোনীতদের তালিকা থেকে মিলছে এমনই তথ্য। সূত্রের খবর, তাঁরা সকলেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের আস্থাভাজন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত নন এমন নেতাকে একসঙ্গে ৬টি স্কুলের পরিচালন সমিতিতে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শহরের আঠারোটি স্কুল নিয়ে জেলার মোট ৩৩টি স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি এবং দু’জন সদস্যের (শিক্ষানুরাগী) নামের তালিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। শহরের ১৮টি স্কুলের পরিচালন সমিতির ৫৪টি পদে রয়েছেন ওই ২৪ জন।

Advertisement

যেমন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া কুকুরজানের দু’টি স্কুলে। কুকুরজান গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি করা হয়েছে জেলা পরিষদের সদস্যা লাভলি পারভিনকে। এই স্কুলের দুই শিক্ষানুরাগী প্রতিনিধি হলেন রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি লক্ষ্যমোহন রায় এবং অসীমজ্যোতি বর্মণ। আবার পাশেই থাকা কুকুরজান হাইস্কুলের সভাপতি হয়েছেন রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্যমোহন রায়। জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা লাভলি পারভিন এবং অসীমজ্যোতি বর্মণ এই স্কুলের দুই শিক্ষানুরাগী প্রতিনিধি।

একই ঘটনা জলপাইগুড়ি শহরেও। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী প্রদীপ দাস একটি স্কুলের চেয়ারম্যান এবং ছ’টি স্কুলের পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন। তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতির সর্বক্ষণের সঙ্গী বলে পরিচিত। আইনজীবী নেতা প্রসেনজিত দেব দু’টি স্কুলের চেয়ারম্যান এবং

Advertisement

দু’টি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য। তৃণমূল নেতা সমীরণ ঘোষ, তরুণ বসু বিশ্বাস, শুভ্রজিত কর, তিতির গুহ, কুন্তল ঘোষ ও আরও কয়েকজন

দু’টি, তিনটি বা তারও বেশি স্কুলের কমিটিতে রয়েছেন। প্রসেনজিত দেব বলেন, “সরকারি কোনও নির্দেশিকা পাইনি। দল যদি কোনও দায়িত্ব দেয়, অবশ্যই সততার সঙ্গে

পালন করব।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথায়, “এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যিনি শিক্ষকতার পেশায় রয়েছেন তাঁকে পরিচালন সমিতিতে রাখা যায় না। এছাড়া সরকারি চাকুরিরতদের রাখা যায় না। সেই কারণেই হয়তো স্থানীয় লোক বাছাই করতে সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই হয়তো কাউকে কাউকে বেশি দায়িত্ব নিয়ে হয়েছে।’’

বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “তৃণমূল শিক্ষাতে কী ভাবে দলতন্ত্র কায়েম করছে তার আদর্শ উদাহরণ এই ঘটনা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement