সরানো হয়েছে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে। নিজস্ব চিত্র।
দলের নির্দেশ অমান্য করে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে সরিয়ে পছন্দের সদস্যকে প্রধানের আসনে বসানোর অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। আর এই জন্য এক বিজেপি সদস্যের সহায়তা নেওয়া হল বলেও অভিযোগ। মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিজেপি পরিচালিত মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন মোট ১৮ সদস্যের মধ্যে ১১ জন। তৃণমূলের চার জন, বিজেপি-র চার জন, কংগ্রেসের এক জন ও সিপিএমের দু’জন সদস্য প্রধান ও উপ-প্রধানের অপসারণের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এর পরই পঞ্চায়েত প্রধান মিলন মণ্ডল ও উপ-প্রধান উত্তম কর্মকারকে বরখাস্ত করা হয়।
মানিকচকের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ব্লক সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র স্থানীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করেছিলেন যে, বিজেপি-র হাত ধরে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অপসারণে তৃণমূল কোনও ভূমিকা নেবে না। নির্দেশ অমান্য করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি।
এই নিয়ে আগেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও পার্টির সদস্যকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। কড়া নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর নেতাদের যোগসাজশে প্রধানকে সরানোর অভিযোগ উঠেছে।
তবে বিজেপি-র দাবি বিধায়কের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নেতৃত্বেই এই কাজ করা হয়েছে।