প্রতীকী ছবি
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শিলিগুড়ি-কোচবিহার রুটে রাতের দিকে বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ। নিগম সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতে চ্যাংরাবান্ধায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ফেরার সময় নিগমের একটি বাসের চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরে কর্মীদের একাংশের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাছাড়া রাতের দিকে বাসগুলি শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে রওনা দেওয়ায় পরের দিন স্বাভাবিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়েই ওই ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাদের আর্জি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন চেকপোস্টে বাস দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় সমস্যা হচ্ছে। কর্মীদের বিশ্রামের সময় মিলছে না বলেও অভিযোগ।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের(এনবিএসটিসি) চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, “যখন যাত্রী দিচ্ছে তখনই বাস ছাড়তে হচ্ছে। দিনের বেলায় বাসগুলি ছাড়তে পারলে ভাল হয়। পরের দিন কর্মীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’ এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সন্দীপ দত্ত বলেন , “দার্জিলিং প্রশাসনকে দিনে বাস ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে রাতের দিকে ওই যাতায়াত কমে।”
নিগম সূত্রেই জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরাতে কয়েকদিন থেকেই বিশেষ বাস চালানো হচ্ছে। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ-সহ অন্য রুটেও বিশেষ বাস চালানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ৮০টির বেশি বাস চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরাতেও গড়ে ৪০টি বাস চলছে। শিলিগুড়ি-কোচবিহার রুটে অনেক ক্ষেত্রে অনেক রাতে বাস রওনা করানোর সঙ্কেত দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারে বাস পৌঁছতে কখনও ভোরও হচ্ছে।
নিগমের এক কর্তার কথায়, ‘‘তার উপর বিভিন্ন চেকপোস্টে ট্রাকের লাইনে বাস আটকে থাকছে। তাতে দীর্ঘ সময় নষ্ট হচ্ছে। কর্মীদেরও বিশ্রাম ব্যাহত হয়ে পড়ছে। পরেরর দিনের কাজে প্রভাব পড়ছে। তাছাড়া নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তো আছেই।’’ এনবিএসটিসির তৃণমূল প্রভাবিত ড্রাইভার্স অ্যান্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা বিমল নন্দী বলেন, “বেশি রাতে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে। দিনে বাস চালালে কর্মীদের সুবিধা হবে।”
সিটুর এনবিসিটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি জগৎজ্যোতি দত্ত বলেন, “চ্যাংরাবান্ধার ঘটনার পরে কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই সময়সূচি বদলের বিষয়টি ভাবা দরকার।”