প্রতীকী ছবি
গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালত থেকে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা জয়দীপ নন্দী। রবিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, ক্ষতি ছাড়াও সাড়ে ১১ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনার দিন জয়দীপ বাড়িতে ছিলেন। বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সহকারী সরকারি আইনজীবী সিন্ধু কুমার রায় বলেন, ‘‘ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগ ছিল। উভয়পক্ষের বয়ান শুনে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা বিচারক শৈবাল দত্ত।’’
অভিযুক্তের আইনজীবী মানস দত্তচৌধুরী বলেন, ‘‘চুরির অভিযোগ থাকলেও কিছু সামগ্রী প্রমাণ হিসেবে আদালতের কাছে দেখাতে পারেনি পুলিশ। সেই পথ ধরেই জামিন পান জয়দীপ।’’ আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ দিন সপ্তাহে একদিন করে থানায় হাজিরা দিতে হবে জয়দীপ নন্দীকে। ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুক্রবার এনজেপির প্ল্যাটফর্মে বিজেপির সংগঠনের শ্রমিকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পাল্টা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় শনিবার রাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির এনজেপি এলাকার নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ।
ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে শুক্রবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সমস্যা মেটেনি। আইএনটিটিইউসি সূত্রের খবর, সংগঠন তাঁদের ৪০ জন কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া মানবে না। ট্রেনে জল দেওয়ার কাজ বিজেপির সংগঠনের ঠিকা শ্রমিকরা শুরু করলে ফের ‘প্রতিরোধ’ গড়ার ডাক দিয়েছেন নেতারা। সংগঠনের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নেতা প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘সোমবার ফের আমাদের কর্মীদের কাজে নিয়োগের দাবি তুলব। ন্যূনতম মজুরি দিয়ে তাঁদের কাজে রাখতে হবে।’’
দফতর ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিজেপির শ্রমিক নেতা ধর্মরাজ রায়েরও। আজ, সোমবার শিলিগুড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নড্ডার কর্মসূচি রয়েছে। তা পার না হলে এনজেপির ঘটনা নিয়ে বিজেপি কোনও পদক্ষেপ করবে না বলে সূত্রের খবর। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তারপর মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এখন দলীয় কর্মীদের আইনি সুরক্ষা নিয়েই ভাবছি।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের জেলা নেতা এবং উত্তরবঙ্গের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের নিয়ে ব্যস্ত। তার মধ্যে এনজেপি এলাকায় চলছে দলের প্রশিক্ষণ শিবির। এই কারণেই এনজেপি নিয়ে কিছুটা সময় নিয়ে পদক্ষেপ করতে চায় বিজেপি।