Coronavirus

ভিড় চায় না মন্দির, মসজিদও

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের রাধাগোবিন্দের মন্দিরে অন্য সময় প্রতি দিন কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৬:২৯
Share:

ধর্মস্থান: দরজা খোলার অপেক্ষায়। বালুরঘাটে বুড়া কালী মন্দির। ফাইল চিত্র

মালদহের জামে মসজিদ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের রাধাগোবিন্দের মন্দির, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের গির্জা থেকে ইসলামপুরের মসজিদ— লকডাউনের পর থেকে সব ছিল সুনসান। সোমবার থেকে ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় মন্দির, মসজিদগুলির দরজা খোলা উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের রাধাগোবিন্দের মন্দিরে অন্য সময় প্রতি দিন কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। ৫ জুন এখানে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা রয়েছে। ২৩ জুন রথযাত্রা। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত শামিল হন। দু’মাস ধরে চলে তার প্রচার। এ বার করোনার জন্য প্রচার বন্ধ। সোমবার থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও মন্দিরে অতিরিক্ত ভিড় চাইছেন না মন্দির কর্তৃপক্ষ। “সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও আমরা কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলছি। জগন্নাথদেবের স্নান বা রথযাত্রা নিয়ে প্রচার করছি না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবাণুমুক্ত হয়ে অল্প সংখ্যক ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে’’— এমনই বললেন মন্দিরের মহারাজ প্রবোধ ধর।

মালদহের কালিয়াচকের নয়মৌজা জামে মসজিদ থেকে ইংরেজবাজার শহরের মনস্কামনা মন্দির— সব জায়গায় ভিড় ছিল না। ধর্মীয় স্থান খুলে গেলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন সকলে। কালিয়াচকের সুজাপুরের নয়মৌজা ইদগাহ্ কমিটির সম্পাদক হামেদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘‘মসজিদের পরিবর্তে বাড়িতেই নমাজ পাঠের বার্তা দিচ্ছি।’’ বঙ্গীয় পুরোহিত সমাজের মালদহ শাখার সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মনস্কামনা, জহুরা, মহামায়া মন্দিরে শুধু আরতিই করা হচ্ছে। ভক্তদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়নি। করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এমন অবস্থায় মন্দির খুলে দিলে সমস্যা আরও বাড়বে।’’

Advertisement

চা বাগান


• লোকসান: প্রায় ১২০০ কোটি টাকা

• উৎপাদন: ৫০-৬৫ শতাংশ কমেছে

• শ্রমিক: প্রথমে বন্ধ, পরে শতাংশের হিসেবে কাজ হওয়ায় প্রত্যেকের মজুরি অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ কমেছে বটলিফ কারখানা

• সংখ্যা: ১৭৫

• ক্ষতি: ১৪০০ কোটি

পর্যটন

ভরা গ্রীষ্মের মরসুম (এপ্রিল-জুন)

• ক্ষতি: রোজ ২৫ কোটি টাকা হোটেল, লজ...

• পাহাড়: ৬২ হাজার ঘর

• ডুয়ার্স: ৮ হাজার ঘর

• হোম-স্টে: ১২ হাজার ঘর

• ক্ষতি: রোজ ১১ কোটি টাকা

ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেলএজেন্ট, টিকিট বুকিং এজেন্ট

• সংখ্যা: ৩০০০ হাজার

• ক্ষতি: রোজ ৬ কোটি টাকা পরিবহণ

• দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিম যৌথ এলাকায় নথিভুক্ত গাড়ি: ৫২০০টি

• বেসরকারি নম্বর: ৮০০টি

• নথিভুক্ত ছাড়া: ১ হাজারটি

• ক্ষতি: রোজ প্রায় ৮ কোটি টাকা

ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প

• ক্ষুদ্র: ৩৫০০টি

• ছোট: ৬৭০০টি

• মাঝারি: ৬০০টি

• মোট ক্ষতি: ২৮০০ কোটি টাকা

চাষবাস

আম

• চাষের জমি: ৪০,০০০ হেক্টর

• জেলা: মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং দুই দিনাজপুর

• ক্ষতি: প্রায় ১০০ কোটি টাকা (লকডাউন এবং আমপানে)

লিচু

• চাষের জমি: ১৩০০ হেক্টর

• জেলা: মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার

• ক্ষতি: প্রায় ১৫ কোটি টাকা

ধান

• চাষ: মালদহ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর

• জমি: ১০ লক্ষ হেক্টর

পাট

• চাষ: জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার

• জমি: ১ লক্ষ হেক্টর

• ক্ষতি: বরোর মরসুমে ধানের সঙ্গে জমিতে পাট রয়েছে

• পরিচর্যায় শ্রমিক মেলেনি ঝড়েও ক্ষতি। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুরের এক মসজিদের ইমামের প্রশ্ন, ‘‘দশের বেশি এলে আমরা কাকে ঢুকতে দেব আর কাকেই বা বাদ দেব? এর চেয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলেই ভাল হত।’’ ইসলামপুরের সিদ্বেশ্বরী কালীমন্দিরের সম্পাদক বীরেন দাস বলেন, ‘‘আরও কিছু দিন অপেক্ষা করার দরকার ছিল। মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement