মালদহের স্কুলে পতাকা উত্তোলন। — নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসেও স্কুলে দেরিতে পৌঁছেছেন শিক্ষকরা। তা নিয়ে শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ মালদহের স্কুলে। শিক্ষকদের পতাকা উত্তোলন করতে না দিয়ে তা করেন গ্রামবাসীরাই। যদিও ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাফাই, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই তাঁরা স্কুলে পৌঁছেছেন।
সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের চকসাদন জুনিয়র হাই স্কুল চত্বরে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। ওই স্কুলে রয়েছে ২৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু শিক্ষক মাত্র দু’জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পড়ুয়ারা দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করে থাকলেও শিক্ষকরা সময়ে স্কুলে হাজির হননি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরাই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পদযাত্রার আয়োজন করেন। তার পর নিজেরাই পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের দাবি, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছন শিক্ষকরা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শিক্ষকদের পতাকা উত্তোলন করতেও দেওয়া হয়নি।
নয়ন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে সময়মতো আসেন না শিক্ষকরা। মানা হয় না কোনও নিয়ম কানুন। কিন্তু তার পরেও আমরা কিছু বলিনি। আজ স্বাধীনতা দিবসের দিনেও ওঁরা সময়মতো আসেননি। তাই আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পদযাত্রা করালাম। ওঁরা দেরি করে এসেছেন বলে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’’
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করছেন এটা তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা সময়মতো এসেছি। এক জন শিক্ষক সকাল ৮টায় এসে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করেছিলেন। আমি ৯টা বেজে ৫ মিনিটে স্কুলে উপস্থিত হই। কিন্তু গ্রামবাসীরা তার পরেও পতাকা তুলতে দেননি। স্কুলে অনিয়ম করা হয়, এই অভিযোগ সত্যি নয়। আর সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। নির্দেশিকা অমান্য হয়নি।’’