Tea

বাগান থেকে চা বিক্রি এবার অনলাইনে

কোন বাগানের চা পাতা কে কিনছে, কী দামে কেনাবেচা হচ্ছে তার সব তথ্য এ বার থেকে থাকবে চা পর্ষদের মুঠোয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোন বাগানের চা পাতা কে কিনছে, কী দামে কেনাবেচা হচ্ছে তার সব তথ্য এ বার থেকে থাকবে চা পর্ষদের মুঠোয়। এর মাধ্যমে দাম এবং গুণমান দুইয়েই নজর রাখতে পারবে পর্ষদ। তবে এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র ছোট চা বাগানের ক্ষেত্রেই।

Advertisement

ভারতীয় চা পর্ষদ (টি বোর্ড) নির্দেশ দিয়েছে এ বার থেকে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া ছোট চা বাগানের পাতা কেনা-বেচা করা যাবে না। পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়ের সই করা নির্দেশে জানানো হয়েছে, সারা দেশেই এই পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে। ‘চায়ে সহযোগ’ নামে একটি মোবাইল তথা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে পর্ষদ। তাতে নথিভুক্ত না করে ছোট চা বাগানের পাতা কেনাবেচা করা যাবে না।

চা পাতার দাম না পাওয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে ছোট চা চাষিদের। বিক্রির সময় ভাল চা পাতাকেও খারাপ বলে চিহ্নিত করার প্রবণতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। দু’টি ক্ষেত্রেই তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। ওই চাষিদের একাংশের দাবি, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে দুই সমস্যারই সমাধান হতে চলেছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, অ্যাপ্লিকেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। ধরা যাক, কোনও ছোট চা চাষি পাতা কিনে বটলিফ কারখানায় হাজির হয়েছেন। কতখানি পাতা রয়েছে তা মেপে ওই অ্যাপ্লিকেশনে ছবি তুলে দিলেই কত শতাংশ খারাপ পাতা রয়েছে তা গণনা করে বের করে দেবে অ্যাপ্লিকেশন। সেই পরিমাণ ওজন থেকে বাদ দিতে হবে। ছোট চা চাষিদের অভিযোগ ছিল এতদিন দশ শতাংশ পাতা খারাপ থাকলে বিক্রির সময়ে ৩০ শতাংশ ওজন থেকে বাদ দেওয়ার প্রবণতা ছিল। এছাড়া, পাতার দাম পাওয়া নিয়েও সমস্যা ছিল। নতুন পদ্ধতিতে কত কেজি পাতা বিক্রি হচ্ছে, কে কত দামে তা কিনছে সবটাই অনলাইনে তুলে দিতে হবে। সরাসরি তাতে নজরদারি চালাবে চা পর্ষদ।

পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায় জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পাতা কেনাবেচায় স্বচ্ছতা আনা। সারা দেশে ২ লক্ষেরও বেশি ছোট চা চাষি রয়েছে বলে পর্ষদের কাছে তথ্য রয়েছে। দেশের চা উৎপাদনের ৪৮ শতাংশই জোগান দিচ্ছে ছোট বাগান। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংস্থা ‘সিস্টা’-এর সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এটি একটি অসামান্য পদক্ষেপ। পর্ষদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” পর্ষদের নির্দেশিকার পরে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে নথিভুক্ত হতে হবে সব বটলিফ কারখানাকে। ছোট চা চাষিদের একটি করে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই কার্ড স্ক্যান করেই চা পাতা বেচতে হবে। কার্ড স্ক্যান না করিয়ে বটলিফ কারখানাও চা পাতা কিনতে পারবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement