শপথ নিচ্ছেন জন বার্লা। নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের চা-বাগান এলাকা থেকে প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন কোনও জনপ্রতিনিধি। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এর পর থেকেই আনন্দে মেতে উঠেছেন চা-বাগান এলাকার বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের লক্ষীপাড়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা জন বার্লা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আদিবাসী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। পরবর্তীকালে আদিবাসী আন্দোলনের মুখও হয়ে উঠেন তিনি। এর পর বিজেপি-র টিকিটে জিতে সাংসদ হন আলিপুরদুয়ার থেকে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তিনি যখন শপথ নিচ্ছিলেন তখন এলাকাবাসীর চোখ ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিকেই। তাঁর চা-বাগানের বাড়ির সামনে আবির খেলার পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণও হয়েছে।
বার্লার মন্ত্রী হওয়া নিয়ে চা-বাগানের শ্রমিক সঙ্গীতা লোহার বলেছেন, ‘‘চা-বাগান থেকে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবে এটা আমরা আগে কখনও ভাবিনি। আমরা খুশি। চা-বাগানের শ্রমিকদের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো হয়তো এবার পূরণ হবে।’’ একই সুর দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তার গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘‘ইতিহাসে প্রথমবার উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন। তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।’’
তবে বিজেপি সাংসদদের প্রতিমন্ত্রী হওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। এ নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘মন্ত্রী হওয়া সোজা। তবে চা-বাগান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে বন্ধ বাগানের খোলার ব্যাপারে এবং শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কতটা কাজ করেন জন বার্লা সেটাই দেখার।’’