—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অবশেষে দরজা খুলতে চলেছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের। ভারতীয় চা পর্ষদের (টি বোর্ড) তরফে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই কেন্দ্রে ফের নিলাম শুরু হবে। জলপাইগুড়িতে নিলাম শুরুর জন্য ‘অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হচ্ছে। সেই অনলাইন পদ্ধতিতে নিলামের মহড়া অতি দ্রুত হবে। জলপাইগুড়ি থেকে চা পর্ষদের সদস্য তথা নিলাম কেন্দ্রের সহ-সভাপতি পুরজিৎ বক্সীগুপ্তকে চিঠি পাঠিয়েছে চা পর্ষদ।
২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নিলাম শুরু হওয়ার পরেই ধুঁকছিল কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের মূল সমস্যা ছিল চায়ের জোগান। চায়ের অভাবে প্রতি সপ্তাহের নিলাম স্থগিত হতে-হতে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর থেকে ফের নিলাম কেন্দ্র চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। চা পর্ষদের তরফে জলপাইগুড়িতে পরিদর্শনও হয়। জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে গুঁড়ো চা নিলাম- সহ একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। চা বাগানে পাতা মজুত থাকলেও জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে নিলাম করা যাবে এমন প্রস্তাবও দেওয়া হয়। সব বিবেচনা করেই চা পর্ষদ জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে ফের নিলাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চা পর্ষদের এক আধিকারিকের কথায়, “জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে নিলামে বেশ কিছু সুবিধে মিলবে। পাতা বহনের ঝক্কিও কমতে পারে। বিক্রেতারা যাতে চা নিয়ে জলপাইগুড়িতে আসেন, সে দিকটিও দেখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির কেন্দ্রের নিলামও পুরোপুরি অনলাইনে হবে। জলপাইগুড়ির জন্য অনলাইনের পোর্টালে নতুন কিছু ব্যবস্থা থাকছে। সে জন্য প্রযুক্তিগত পরীক্ষা প্রয়োজন। সে সবই দেখে নেওয়া হচ্ছে।”
জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্রের সহ-সভাপতি পুরজিৎ বক্সীগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চলছিল। অবশেষে আশার আলো দেখা গেল। চা পর্ষদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা নানা পরীক্ষানিরীক্ষা সেরে নিচ্ছে। জলপাইগুড়ির জন্য বিশেষ মহড়া নিলামও হবে।”
জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র চালু করতে সবুজ সঙ্কেত এসেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক থেকেও। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জয়ন্ত রায় বলেন, “একাধিক বার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র চালুর বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। মন্ত্রককে ধন্যবাদ।” তবে কী ধরনের পাতা জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে নিলাম হবে, তা এখনও জানায়নি চা পর্ষদ।