সুশান্ত ও সুতপা। —ফাইল চিত্র।
সুতপা চৌধুরী খুনের ঘটনার পর প্রথম বার অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে মালদহে নিয়ে আসা হল। পুলিশি জেরায় সুশান্ত দাবি করেছিল, সে সুতপাকে বিয়ে করেছে। মূলত সেই দাবির সত্যতা যাচাই করতেই সুশান্তকে ইংরেজবাজারে নিয়ে এল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সুশান্তকে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে বন্ধ ঘরে বসিয়ে জেরা করা হয় সুশান্তকে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সঙ্গেও দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সুতপাকে খুন করতে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছিল সুশান্ত, তা-ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যে রাতেই ইংরেজবাজারের নেতাজিনগরের কমার্শিয়াল মার্কেটে গিয়ে একটি দোকান চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। যত ক্ষণে তাঁরা গিয়েছেন, দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই, ডেকে পাঠানো হয়েছে দোকানদারকে, এমনটাই দাবি ওই সূত্রের। সুশান্ত আদৌ সত্যি কথা বলছে কি না, দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে তা-ই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ইংরেজবাজারে থাকতেন সুতপা। সেখানে সুশান্তের পিসির বাড়ি। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করত সে। সুশান্তের আসল বাড়ি ২৮ কিলোমিটার দূরে খনি বাথানি গ্রামে। পুলিশ সূত্রের দাবি, সুশান্তের গ্রামে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তদন্তকারীরা। সুশান্ত সত্যিই সুতপাকে বিয়ে করেছিল কি না, তা যাচাই করে দেখতে চাইছেন তাঁরা। একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করার কথা বলেছিল সুশান্ত। সে সম্পর্কেও খোঁজ করতে চাইছে পুলিশ।