অনুতাপ: এখনও ঘরের এক কোণে পড়ে সুশান্তর মা। নিজস্ব চিত্র।
উঠোন জুড়ে ছড়ানো ঘুঁটে। উঠোনের মতো এলোমেলো ঘরও। ড্রয়িংরুমের এককোণে চৌকিতে সোমবার দুপুরেও গুটিশুটি হয়ে শুয়ে রয়েছেন বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুন কাণ্ডে অভিযুক্তের মা পরমেশ্বরী চৌধুরী। ঘটনার পরে সাত দিন কেটে গেলেও এখনও ছেলের ‘অপরাধের’ জন্য চোখের জল ফেলে চলেছেন তিনি। তিনি বলেন, “ছেলে অপরাধ করেছে।” এর পরেই ফের কান্না জুড়ে দেন তিনি। আর কোনও কথা বলতে চাননি পরমেশ্বরী।
তিনি কোনও কথা না বললেও সুশান্তের কাণ্ডে সবাই অনুতপ্ত বলে জানান পরিবার। এক আত্মীয় বলেন, সুশান্ত যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তাতে আমরা সবাই অনুতপ্ত। পরিবারের কেউ কি বহরমপুরে যাবে না? পরিবারের দাবি, এখনই বহরমপুর যাওয়ার প্রশ্ন নেই। এ ছাড়া বহরমপুরে গিয়ে আইনি লড়াইয়ের মতো সামর্থও নেই। কারণ, অভিযুক্ত সুশান্তের বাবা নিখিল চৌধুরী এখনও শিলিগুড়িতেই রয়েছেন। সুশান্তের মেজো ভাই শুভজিৎ চৌধুরী বলেন, “দাদার ঘটনাটি জানার পরেই মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঠিক মতো খাচ্ছেও না। বাড়িতে বৃদ্ধা দিদা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ভাই আছে। আমাদের এখনই বহরমপুর যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।” নিখিল বলেন, “ছেলের বিষয়টি পরিবার দেখছে। শিলিগুড়িতে বসে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।”
কলেজ ছাত্রী খুন কাণ্ডে এখনও মালদহে আসেনি বহরমপুরের পুলিশ। এ দিন বহরমপুরের পুলিশের আসা নিয়ে জেলায় হইচই পড়ে যায়। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্ত সুশান্তের পুরাতন মালদহের খনি বাথানি গ্রাম বা শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সে পিসির বাড়িতেও আসেনি বহরমপুরের পুলিশ। সুশান্তের সম্পর্কে খোঁজ নিতে এখনও বহরমপুরের পুলিশ জেলায় না আসায় উঠছে প্রশ্ন। এক পুলিশ কর্তা বলেন, “তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তের বিষয়ে খোঁজ নিতে হয়। তাতে তদন্তে সুবিধে হয়।” যদিও মালদহে সুশান্তকে ছাড়াই আসবে বলে জানিয়েছে বহরমপুরের পুলিশ।
তদন্তে বহরমপুরের পুলিশকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত সুশান্তের পরিবার।