উত্তরের দুই জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মেনে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানালেন, ধূপগুড়ি উপনির্বাচন হয়ে গেলে সব মেটানো হবে। পাশাপাশি, সম্প্রতি অনন্ত মহারাজের পৃথক রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দিন জলপাইগুড়িতে জানান, ওই দাবি অনন্তের ‘ব্যক্তিগত’।
সোমবার ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের দলীয় প্রচারে যাওয়ার পথে এনজেপিতে নামেন সুকান্ত। সেখানে দলীয় নেতাদের একাংশ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই সুকান্ত দলের ‘বিক্ষুদ্ধ’দের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভাঙন বলে বিজেপিতে কিছু হয় না। ভাঙন হত যদি বিক্ষুব্ধেরা তৃণমূলে যোগ দিতেন। তাঁদের মনে রাগ হয়েছে। তাই হয়তো এরকম করেছেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ এর পরে জলপাইগুড়ি স্টেশনেও নামেন সুকান্ত। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আক্ষরিক অর্থেই প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপির মিছিল থেকে বেরিয়ে দলের জেলা সভাপতি এবং যুব মোর্চার সভাপতিকে দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া এক নেতাকে মারধর করতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারার দৃশ্যের ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিষয়ে এ দিন সুকান্ত বলেন, “এ সব আমরা পরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। ধূপগুড়ি উপনির্বাচন হয়ে যাক।” সেই সঙ্গে অনন্তের রাজ্যভাগের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত বলেন, “অনন্ত মহারাজ যে কথা বলছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এই বিষয়ে তিনিই আপনাদের আলোকপাত করতে পারবেন। বিজেপির যে নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা তা আগেও বলেছি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গকে তৈরি করে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সেই রূপেই আগামীদিনে থাকুক, এটাই বিজেপির ঘোষিত অবস্থান। উত্তরবঙ্গ অবশ্যই বঞ্চিত। সেই বঞ্চনা বিজেপি এসে পূরণ করবে।’’
শিলিগুড়িতে এ দিন বিক্ষুব্ধরা সুকান্তের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। দলের সদ্য জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া অরুণ মণ্ডল তাঁর নতুন কমিটিকে নিয়ে দেখা করেছেন। অরুণের বক্তব্য, ‘‘দলীয় কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। রাজ্য সভাপতি নিজেই সবার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। দলীয় নির্দেশ মেনেই দল চলবে।’’ মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, "জেলা সভাপতি সবার সঙ্গে কথা বলবেন বলেছেন। এতে দলীয় সমস্যা সমাধান হলে ভাল।’’