কলেজে বিক্ষোভে ধৃত ২৫ পরীক্ষার্থী

সার ও কীটনাশকের উপরে এক বছরের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়েছে। কলকাতার নরেন্দ্রপুর সমিতি ইনস্টিটিউটের অধীনে মাহিনগরের এই কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও এই কোর্স চালু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০২:০১
Share:

ধরপাকড়: মাহিনগরের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষা দিতে এসে বিক্ষোভ করায় বিক্ষোভকারী ছাত্রদের গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বালুরঘাটের মাহিনগরে এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টারের ঘটনা। এ দিন সকালে পরীক্ষার্থীদের একাংশ সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ, পুলিশ ডেকে তাঁদের গ্রেফতার করিয়েছেন সহ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশিক্ষণ)। যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

সূত্রের খবর, সার ও কীটনাশকের উপরে এক বছরের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়েছে। কলকাতার নরেন্দ্রপুর সমিতি ইনস্টিটিউটের অধীনে মাহিনগরের এই কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও এই কোর্স চালু হয়েছিল। এই কোর্সে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মোট ৪০ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছিলেন। এ দিন তাঁদের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে এলে ২৫ জন ছাত্রকে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্লাসে যাঁদের ৮০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল তাঁদেরই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। যাঁদের উপস্থিতির হার কম, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই নির্দেশ শুনে পরীক্ষায় দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ২৫ জন ছাত্র। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের অনেকেরই বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে। প্রায় ১০০ কিমি দূর থেকে প্রতিদিন সঠিক সময়ে ক্লাসে আসা সম্ভব হয়নি। তাই তাঁদের ৮০ শতাংশ উপস্থিতি হয়নি। এই অবস্থায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাবি মানতে না চাইলে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বালুরঘাট থানায় ফোন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভাকারী রায়গঞ্জের ছাত্র সুমিত আগরওয়াল বলেন, ‘‘১০০ কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন সময়ে ক্লাসে আসতে পারিনি। এই কারণে আমাদের উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ না হলেও কাছাকাছি হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। একবছর ধরে এতদূর থেকে এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমরা বলেছিলাম, আমাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নিন। কিন্তু পরীক্ষায় বসতে না দিয়ে উল্টে আমাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সহ কৃষি অধিকর্তা সুশীলকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা উপরমহলে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের কম থাকলে কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসানো যাবে না বলেই নির্দেশ ছিল। পরীক্ষার সময়ে বিক্ষোভ করায় পুলিশ ডেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement