ফাঁকা: উঠে গিয়েছে ফার্মাসি কলেজের পড়ুয়াদের অনশন। শুক্রবার রাতে। নিজস্ব চিত্র
জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতেই হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত ইউনিভার্সিটি অব হেল্থ সায়েন্সেস কর্তৃপক্ষের। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলে দাবি কলেজের। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি রাজ্যকে পরীক্ষা নিতে হবে। এ দিনই রাতে অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ফার্মাসি কলেজের পড়ুয়ারা।
শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহ রায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’ এ দিন ওই ভার্চুয়াল সভার পর কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি, মহকুমা শাসক রঞ্জন কুমার দাস, কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহ রায়, অধ্যাপক উত্তম শর্মা ও দু’জন ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মেনে চলার কথাই বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় এ দিন কলকাতায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই প্রসঙ্গে কথা কথা বলেছেন বলে জানান। সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রয়োজনে ভার্চুয়াল বৈঠক করতেও রাজি হয়েছেন।’’ পড়ুয়াদের পক্ষে তন্ময় তন্ত্র বলেন, ‘‘আমরা আশ্বাস পেয়ে সাময়িক ভাবে আন্দোলন তুলছি। কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা দিতে আমরা এখনও রাজি নই।’’
এ দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উদ্বেগে জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে এ বছর পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের কেউ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কেউ বা আইআইটিতে ভর্তি হয়েছেন। লকডাউনে তাঁদের বেশ কয়েকটি সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়নি। চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, এ বার তাঁদের কি ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। তাহলে যে চাকরি তাঁরা করছেন বা যে পাঠক্রমে ভর্তি হয়েছেন সেগুলি কি খারিজ হয়ে যাবে। কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা শুনেছি। সরকারি নির্দেশিকার অপেক্ষা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা দেবে সেভাবে পদক্ষেপ করব।’’