কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের মধ্যে ‘সংঘাতের’ জেরে পড়াশোনায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। এই সমস্যা দ্রুত না মিটলে ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, এমনই আশঙ্কা করছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।
এআইডিএসও-র কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সম্পাদক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ছাত্র সুনির্মল অধিকারী বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য-হীন ছিল। তার জেরে ছাত্রছাত্রী, গবেষকদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এ বার আবার নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন পরেই কলেজে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্যা চললে পড়ুয়াদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যাক্তির একক সিদ্ধান্তে চলতে পারে না। ছাত্র-শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হোক।’’ লাইব্রেরি সায়েন্সের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ছাত্র উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কাও ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ফিরে আসুক, এটাই চাইছি।’’
শুক্রবার দুপুরে রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করেন উপাচার্য। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রেজিস্ট্রারকে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের একাধিক ধারা উল্লেখ করে ‘সাসপেন্ড’ অবৈধ বলে জানানো হয়।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তার পরের পরিস্থিতি কী হয়, সে দিকে এখন তাকিয়ে সবাই।