নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার হাতে খুদে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।
নিজেদের স্কুল পরিচ্ছন্ন রাখাই শুধু নয়, এলাকায় কাদের বাড়িতে শৌচাগার নেই তা জানতে সমীক্ষাও চালিয়েছে পড়ুয়ারা। এমনকি খোলা মাঠে শৌচকর্ম রুখতে এলাকা চিহ্নিত করে কোথাও পোস্টার সেঁটে দিয়েছে, কোথাও আবার পথনাটিকার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে অভিযান চালিয়েছে। ‘নির্মল কোচবিহার’ গড়ার লক্ষ্যপূরণে সাধ্যমত চেষ্টা করেছে সকলেই। এমন কাজের স্বীকৃতি হিসাবেই কোচবিহারের ৪৮টি স্কুলকে ‘নির্মল বিদ্যালয়’ পুরস্কার দিল সর্বশিক্ষা মিশন। বুধবার কোচবিহারের জেলাশাসকের দফতর চত্বরে ল্যান্সডাউন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলার ২৪টি প্রাথমিক ও ২৪টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
ওই অনুষ্ঠানে স্কুলগুলির ভূমিকার প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “কোচবিহার জেলাকে নির্মল করার চেষ্টা হচ্ছে। পড়ুয়ারা সচেতনতা বাড়াতে চিঠি লিখছে। সমীক্ষা করেছে। এই কাজ জারি রাখতে হবে।” কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “সারা বছরই স্কুলগুলির নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পাওয়া লক্ষ্য থাকে। যে সব স্কুল পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সেই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে। যারা এ বার পুরস্কার পেলেন না তাদেরও আগামী দিনে ওই পুরস্কার পাওয়ার লক্ষ্য রাখতে হবে।” অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাশাসক চিরঞ্জীব ঘোষ, সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক মহাদেব শৈব্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।