প্রতীকী ছবি।
ছাত্র-যুবদের সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারে তাঁর শিলিগুড়ির মিছিলে ছাত্রদের আনতে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি জেলা টিএমসিপি-র মধ্যে। শিলিগুড়ি টিএমসিপি যদি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিলিগুড়ি শহর ও মহকুমার কলেজগুলি থেকে ছাত্রদের পথে নামানোর প্রস্তুতি নেয়, উল্টো দিকে জলপাইগুড়ি টিএমসিপি জেলা সদর শহরের কলেজগুলি ছাড়াও ময়নাগুড়ি কলেজ, মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজ, বানারহাট কার্তিক ওরাওঁ কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত কলেজ থেকে অন্তত হাজার দুয়েক পড়ুয়াকে সামিল করতে চাইছে মিছিলে।
আজ, শুক্রবার দুপুর বারোটায় শিলিগুড়িতে এই মিছিল হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছন। তার আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন দলের ছাত্র নেতারা। টিএমসিপি সূত্রে খবর, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পড়ুয়াই এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। সেই দলে আছেন কলকাতার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারাও। কিন্তু উত্তরবঙ্গে সেই প্রবণতা সে ভাবে নজরে পড়ে না। তবে টিএমসিপি নেতৃত্বের দাবি, পড়ুয়াদের একাংশ এআরসি, সিএএ বিরোধী মনোভাব পোষণ করছেন। টিএমসিপি সেই সুযোগকেও কাজে লাগাতে সচেষ্ট। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিএসও-র তরফে আলাদা ভাবে এনআরসি এবং সিএএ-র প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে। তবে তৃণমূলের মিছিলে তাঁরা থাকবেন না বলেই জানান ডিএসও মেডিক্যাল কলেজ ইউনিটের ছাত্রনেতা সৌম্যদীপ রায়। দার্জিলিং জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি শাহানাবাজ হোসেনের কথায়, ‘‘তৃণমূল লোক দেখাতে মিছিল করছে। আমরা তার মধ্যে নেই। কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে আলাদা মিছিল করবে।’’
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিলে দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সমর্থকদের আনতে বাস ও ছোট গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলা টিএমসিপি নেতৃত্ব। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, ‘‘কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এ দিন শিলিগুড়ি বিভিন্ন কলেজ থেকে মিছিলে শামিল হবেন। তাঁদের আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মূহূর্তে বিভিন্ন সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানেও পরীক্ষা চলায় পড়ুয়াদের অনেকেই আসতে পারবেন না। তবে সংগঠনের সদস্য-সমর্থক গবেষক ছাত্রছাত্রী এবং যাঁদের পরীক্ষা শেষ, তাঁদের আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা টিএমসিপি-র সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানান, জলপাইগুড়ি শহর ছাড়াও ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজারের কলেজগুলি থেকে সংগঠনের সদস্য, সমর্থকদের আনতে ৩০টিরও বেশি বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দুই জেলার যুব সংগঠনও তৎপর। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, ৬০টি বড় বাস এবং শতাধিক ছোট বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিলিগুড়ির বিভিন্ন ব্লক থেকেও যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের শামিল করাতে দুই শতাধিক গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বিকাশ সরকার।