madhyamik examination

ধরা পড়লে কেন্দ্র থেকেই অভিযোগ

এ বার থেকে খাতায়কলমে এই ক্ষমতা পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি তথা ‘ভেনু সুপারভাইজার’ বা ‘ভেনু ইনচার্জ’কেও দেওয়া হল। যদিও পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানানোই বাঞ্ছনীয়।’’

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৫৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন বা ইলেট্রনিক্স যন্ত্রাংশ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসার ঘটনা রুখতে পুরনো নিয়মই নতুন করে জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হবে। তাকে বোর্ডেও ডাকা হবে শুনানির জন্য। যদি মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে থাকে, তা হলে তার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করা হবে। যার ফোনে সে প্রশ্নপত্র পাঠাবে, তার নামেও এফআইআর হবে। এত দিন এই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা ছিল সরাসরি পর্ষদের হাতে। এ বার থেকে খাতায়কলমে এই ক্ষমতা পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি তথা ‘ভেনু সুপারভাইজার’ বা ‘ভেনু ইনচার্জ’কেও দেওয়া হল। যদিও পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানানোই বাঞ্ছনীয়।’’

Advertisement

পর্ষদের হাতে ক্ষমতা থাকায় শিলিগুড়িতে বাগডোগরা শুভমায়া এসএন হাইস্কুলে মোবাইল-সহ পাকড়াও ১৮ জন বহিরাগত পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যায়নি। শিক্ষকরা চেয়েছিলেন, পুলিশে অভিযোগ জানানো হোক। পর্ষদকে বিষয়টি জানালে ওই দিনই বৈঠক করে নিয়ম বদলে বেশ কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পরদিন সেগুলি বিভিন্ন জেলায় স্কুল পরিদর্শকের দফতরে নির্দেশিকা আকারে পাঠানো হয়। পর্ষদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নতুন নিয়মে প্রশ্ন ফাঁস বা মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’’ শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় যুক্ত যুগ্ম আহ্বায়ক রাম ছেত্রী বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

শুভমায়া এনএন স্কুলে অভিযুক্তেরা অধিকাংশই মালদহের বাসিন্দা এবং বয়স্ক পরীক্ষার্থী। অন্তর্বাসের মধ্যে মোবাইল নিয়ে তারা ঢুকেছিল। প্রথম পরীক্ষা বাতিল হলেও পরের পরীক্ষাগুলি দিচ্ছে। তা নিয়ে শিক্ষক-পড়ুয়া-অভিভাবক মহলেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পর্ষদ সূত্রেই জানা গিয়েছে, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে যাবেন না। বোর্ড যে ইনভিজিলেটরদের নিয়োগ করেছে, তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল আনলে তাঁদের নামেও নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement