—ফাইল চিত্র।
১৭ মে শিলিগুড়ির পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ ফুরতে চলেছে। এর পর পুরসভায় প্রশাসক বসবে না কি মেয়র এবং তাঁর পারিষদদের রেখে অন্তর্বর্তী প্রশাসক বোর্ড হবে তা নিয়ে শিলিগুড়িতে জল্পনা তুঙ্গে। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে সেখানকার মেয়রকে প্রশাসক পদে রেখে এবং মেয়র পারিষদদের নিয়ে প্রশাসক বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘বাকি পুরসভারগুলোর ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ। কিন্তু সেটা এখনও সরকার স্পষ্ট করেনি।’’
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে তখন বোঝা যাবে।’’ প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও শিলিগুড়ির মেয়রের দাবি, এদিনের নির্দেশিকায় অস্পষ্টতা এবং স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যে ধারাতে করেছে সেখানে এমন কিছু নেই। অর্ডিন্যান্স করে প্রয়োজনীয় ধারাকে স্পষ্ট ভাবে যুক্ত করে এটা করা দরকার ছিল। আরও ৯০টি পুরসভার ক্ষেত্রে কী হবে সেটাও বলা হয়নি। সেটা পরিষ্কার করে বলা দরকার। সব ক্ষেত্রেই একই রকম হওয়া উচিৎ বলে মেয়রের দাবি। একই সুরে সমালোচনা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফেও। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভায় যদি প্রশাসক বোর্ড এ ভাবে হতে পারে তা হলে সেটা সব ক্ষেত্রেই একই ভাবে করা উচিৎ।’’
তবে বাস্তবে সরকার সেই পথেই হাটবে না অন্য সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিজেপি’র তরফে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের। বিজেপি’র উত্তরবঙ্গের নেতা রথীন বসুর দাবি, কলকাতা বা শিলিগুড়ি বা অন্য কোনও পুরসভা যেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে সেখানে কোনও আধিকারিককে প্রশাসক হিসাবে বসানো উচিৎ। তা না করে রাজনৈতিক নেতাদের প্রশাসক হিসাবে বসানো অন্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে সেটাই করা হল। বকলমে পুরসভাগুলো যাতে তৃণমূল চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাতে দুর্নীতি আরও বাড়বে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)