প্রতীকী ছবি।
ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু দলের প্রার্থী হিসাবে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে ফের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি থেকে জেতানোর আহ্বান করলেন আইএনটিটিইউসি নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনজেপি এলাকায় শ্রমিক সমাবেশে জেলা সংগঠনের সভাপতি অরূপরতন ঘোষ গৌতমবাবুকে জেতানোর জন্য আবেদন করেন। তিনি জানান, এলাকায় উন্নয়নের কাজ চলছেই। তাই গৌতমবাবুকে জিতিয়ে বিধায়ক করে উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে হবে।
২০১১ সাল থেকে দুই দফায় এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন গৌতম। তার আগে এই আসনটি ছিল না। তৃণমূল বরাবার কেন্দ্রটিতে নিজের আধিপত্য বজায় রাখলেও ২০১৯ সাল থেকে বিজেপিও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। গত লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ৮৬ হাজার ভোটে লিড পান। বিজেপি কি এ বার এই আসনে শাসক দলকে টেক্কা দেবে কি না সেই প্রশ্নও ওঠে। তার উপরে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী, ডাবগ্রাম এলাকার নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে।
দলীয় সূত্রের খবর, কয়েকমাস আগে এই কেন্দ্রে গৌতম দাঁড়াতে নাও পারেন বলে শোনা যায়। তাঁকে দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ শিলিগুড়ি আসনে দাঁড় করাতে চান বলেও চাউর হয়। কিন্তু করোনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের পর থেকেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়েন গৌতম। এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রোজই কর্মসূচি করছেন। তাতে ধরাই যাচ্ছে, তিনিই আবার প্রার্থী হবেন।
সম্প্রতি এনজেপি স্থলবন্দরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী শহরে ছিলেন। দল থেকে এনজেপির নেতা প্রসেনজিৎ রায়কে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি পলাতক। দলের তরফে এলাকার দেখভালের জন্য একটি নতুন কমিটি গড়ে দিয়েছে। সেখানে এ দিন প্রাক্তন সিপিএম মেয়র পারিষদ তথা তৃণমূল নেতা পরিমল মিত্র, দলে একসময় বসে পড়া নেতা কৌশিক দত্তকে রাখার কথা মন্ত্রী ঘোষণা করেন। এনজেপির ঘটনার পর বিজেপি অভিযোগ করে, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দীকে দলে ফেরানোর জন্য মন্ত্রী ফোন, হুমকি শুরু দিয়েছেন।
জয়দীপের দাদা তথা এলাকার দাপুটে নেতা মৃত বিজন নন্দী বা জনের অভাব দল বোধ করছে বলেও মন্ত্রী জানান। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘জনের অভাব এখনও আমরা বোধ করি। কিন্তু তা বলে ফোন করে কাউকে দলে নেওয়া, হুমকি দেওয়ার কথা শুনে খারাপ লাগে।’’