Primary teacher

প্রাথমিকে ৩৫ জন উর্দু শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন মোট ৩৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে গোয়ালপোখর সার্কেলে ২৩, চাকুলিয়ায় ৪,  ইসলামপুরে ৫ এবং করণদিঘিতে তিন জন রয়েছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালপোখর শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

হঠাৎ করে শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়ল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জেলার ৩৫ জনকে উর্দু মাধ্যমের শিক্ষকের নিয়োগপত্র দেয়। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, কিভাবে কিসের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি নিয়োগপত্র ছাড়া হল।

Advertisement

যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, সংরক্ষণের গেরোয় এতদিন নিয়োগে জট ছিল। তা কেটে যাওয়ায় নিয়ম মেনেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন মোট ৩৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে গোয়ালপোখর সার্কেলে ২৩, চাকুলিয়ায় ৪, ইসলামপুরে ৫ এবং করণদিঘিতে তিন জন রয়েছেন।

Advertisement

জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক ) তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দীপক চন্দ্র ভক্ত জানান, ২০১৪ সালে টেট পাশের পর রোস্টারে সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতার জেরে এতদিন নিয়োগপত্র ছাড়া যায়নি। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্যানেল মেনেই এ বার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

তবে এই নিয়োগ প্রসঙ্গে চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) বলেন, "২০১৪ তে যারা পাশ করেছিল তাদের ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তালিকায় ছিল ১০৫ জন। কিন্ত গোলাম রব্বানির অনুগামীদের ৩৫ জনকেই শুধু নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে আর্থিক লেনদেনের গল্প রয়েছে।" তখন পাশ করা বাকিদের নিয়োগেরও দাবি জানান তিনি। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন বলে দাবি ভিক্টরের।

এতদিন পরে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গোয়ালপোখরের কংগ্রেস নেতা মহম্মদ নাসিম আখতার। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, "এই নিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।"

রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আসাদউদ্দিন ওইয়েসির দল মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল- মুসলিম তথা মিম উত্তর দিনাজপুরের পড়শি রাজ্য বিহারে ভাল ফল করার পর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যের শাসক দলকে। তার প্রভাব এই জেলার ইসলামপুর মহকুমাতে পড়েছে। উর্দুভাষীদের ক্ষোভের সুযোগ মিম যাতে না নিতে পারে সে জন্যই তড়িঘড়ি এই নিয়োগ।

তৃণমূলের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি জানান, বিরোধীদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement