প্রতীকী চিত্র।
কোনও স্কুলে পরিকাঠামো নেই, তো কোথাও শিক্ষক সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। কোথাও ল্যাবের সীমিত সংখ্যা। এই পরিকাঠামোতে শিলিগুড়ি মহকুমার অনেক স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে বেশি করে ছাত্র ভর্তি সম্ভব নয় বলে দাবি। আগামী শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ২৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক স্কুলে ২৭৫ জন ভর্তি নিলেই ক্লাসে পড়ুয়াদের দাঁড়িয়ে থাকতে হত। কোথাও শিক্ষকের অভাবে ক্লাস বন্ধ হয়ে থাকত। বেশি করে ছাত্র ভর্তি নিয়ে যদি পড়শোনাই ঠিক না হয়, তা হলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে সমস্যা হবে না তো? শিলিগুড়ি স্কুলগুলির ডিআই রাজীব প্রামাণিক বলেন, ‘‘স্কুলগুলির পরিকাঠামো ও পড়াশোনার মানের বিষয়টি ঠিক রেখে যে স্কুলগুলির সম্ভব, তারা বেশি ছাত্র ভর্তি নেবে।’’
নকশালবাড়ি নন্দ প্রসাদ হাইস্কুলে ৪০০ জনের মতো আবেদন পড়েছে। কিন্তু তারা ৩১০-এর বেশি ছাত্রকে ভর্তি নেবে না, তালিকা টাঙিয়ে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক নীতিশ ঘোষ বলেন, ‘‘এত দিন ২৫০ জনকে নেওয়া হত একাদশে। সংসদের নির্দেশে প্রায় দ্বিগুণ ছাত্র ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিকাঠামো নেই।’’ শিলিগুড়ি গার্লসে প্রধান শিক্ষিকা অত্যুহা বাগচী জানান, বেশি ছাত্রী ভর্তি করে যদি পড়া ঠিক না হয়? বিজ্ঞান বিভাগে ৬৫-এর বেশি ছাত্রী ভর্তি নিতে পারবেন না তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘পরিকাঠামো ঠিক রেখে বেশি করে যাতে ছাত্রী ভর্তি নেওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে।’’