Cooch Behar

ফেসবুকে চার শব্দে আবেগ ফুটিয়ে তুললেন রবি, মনকে বেঁধে রাখা যায় না পাগলা! দিলেন ব্যাখ্যাও

সমাজমাধ্যমে মাত্র চার শব্দে নিজের ‘মনের কথা’ তুলে ধরেছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রবীণ ওই তৃণমূল নেতার আচমকা এমন পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৩৮
Share:

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা। — ফাইল চিত্র।

সমাজমাধ্যমে মাত্র চার শব্দে নিজের ‘মনের কথা’ তুলে ধরেছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রবীণ ওই তৃণমূল নেতার আচমকা এমন পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। রবির নিজস্ব ব্যাখ্যা, নদীর মতো মনকেও মানুষ বেঁধে রাখতে পারে না। যদিও সুযোগ পেয়েই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ পোস্ট করেছিলেন, ‘‘দলের পুরনো কর্মীরা ভাল নেই।’’ মাত্র চার শব্দের এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। যা ক্রমশ ডালপালা মেলতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কোচবিহারে কি তৃণমূলের আদি এবং নব্য সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিল? ঘটনাচক্রে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ এক নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক। বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি। এ নিয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান তথা জেলার অন্যতম প্রবীণ নেতা গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘এটা ওঁর (রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) ব্যক্তিগত মত। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে। উনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি।’’

গিরীন্দ্রনাথের সুরে সুর মিলিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে বলার মতো আমার কিছুই বলার নেই। উনি কেন, কী কারণে এই পোস্ট করেছেন সেটা আমি বলতে পারব না।’’

Advertisement

রবীন্দ্রনাথের ফেসবুক পোস্ট সামনে আসতেই খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘উনি (রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) সত্যি কথাই বলছেন। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতারা তো এখন নেই। তৃণমূলের সকলে এখন বামফ্রন্ট থেকে ধার করা। এখন ওঁদের ব্যাপার, কাকে দিয়ে চালাবেন না-চালাবেন সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন।’’

কিন্তু যাঁর পোস্ট ঘিরে এই জল্পনা সেই রবীন্দ্রনাথ কী বলছেন? তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুক মতামত প্রকাশের একটা জায়গা। আমিও সেখানে মাঝেমাঝে নিজের মনের ভাব, আবেগ প্রকাশ করে থাকি।’’ এর পরই দার্শনিকের মতো তাঁর উত্তর, ‘‘মনকে তো বেঁধে রাখা যায় না। সে নদীর মতো নিজের গতিতে চলে। যেমন নদীকে বেঁধে রাখা যায় না, তেমনই মানুষের মনকেও বেঁধে রাখা যায় না রে পাগলা!’’ কেন এই পোস্ট, সেই রহস্য খোলসা করতে রাজি হননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement