Muurdering Father In Law

শ্বশুরের মাথায় নলকূপের হাতলের ঘা, টাকা না পেয়ে কোচবিহারে ভরা বাজারে ‘খুন’ করলেন জামাই!

টাকা না পেয়ে শ্বশুরের মাথায় নলকূপের হাতলের আঘাত মেরে খুন করলেন জামাই। এমনই অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার ১ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন পুণ্ডিবাড়ি থানার টাকাগাছ এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৫:৫৫
Share:

শ্বশুরকে মাথায় আঘাত করে খুন। প্রতীকী চিত্র।

টাকা না পেয়ে শ্বশুরের মাথায় নলকূপের হাতলের ঘা মেরে ‘খুন’ করলেন জামাই। এমনই অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার ১ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন পুণ্ডিবাড়ি থানার টাকাগাছ এলাকায়। নিহতের নাম তাপস সরকার (৫৮)। খুনের পর অভিযুক্ত জামাইকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে কোচবিহারের টাকাগাছের জোড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা তাপসের মেয়ে পায়েল সরকারের সঙ্গে কোচবিহার এক নম্বর ওয়ার্ডে ভীম সরকারের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য পায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন ভীম। টাকা না পাওয়ায় তিনি পায়েলকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। মাসখানেক আগে ভীমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পায়েল বাপের বাড়ি চলে যান। তার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভীম প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ জানান পায়েলের পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে তাপস টাকাগাছ বাজারে গেলে তাঁর মাথায় নলকূপের হাতল দিয়ে ভীম মারেন বলে অভিযোগ। এর পর গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ভীমকে ধরে ফেলেন। তাঁকে বেঁধে রেখে মারধর করে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

পায়েলের মা প্রতিমা সরকার বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই জামাই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল। কারণে-অকারণে তাঁকে মারধর করত। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে যেতে বলত। আমরা গরিব মানুষ। অত টাকা কোথায় পাব?’’ কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ উদ্ধার করেছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement