Sukanta Acharya

সুকান্তের কথা গোয়েন্দাদের বলেছিলেন কুন্তল! কী অভিযোগ করেছিলেন পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ আমলার বিরুদ্ধে?

এপ্রিলে সুকান্তকে নিয়ে কুন্তলের এই বয়ানের ভিত্তিতে একটি চার্জশিট পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাতে সুকান্ত সম্পর্কে কুন্তল কী জানিয়েছেন, তা স্পষ্ট উল্লেখ করেছে ইডি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৩:৩১
Share:

কুন্তল ইডিকে জানিয়েছে, গোপাল দলপতি তাঁকে এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য দিয়েছিলেন। ফাইল চিত্র

জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না, তা অনুমান করেইছিলেন তদন্তকারীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতরে বিশেষ দায়িত্বে নিযুক্ত সুকান্ত আচার্যের উপর তাই প্রথম থেকেই নজর ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সম্প্রতি তাঁদের সেই সন্দেহ পাকা হয় কুন্তল ঘোষের বয়ানে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের এই বহিষ্কৃত নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জানান, সুকান্তের কথা প্রথম থেকেই জানতেন তিনি। টাকা লেনদেনের সূত্রে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ এই সরকারি আমলার সঙ্গে পরিচিতি তাঁর।

Advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এপ্রিলেই কুন্তলের এই বয়ানের ভিত্তিতে একটি চার্জশিট পেশ করেছিল। তাতে নাম ছিল সুকান্তেরও। সেই চার্জশিটের প্রতিলিপি সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে। তাতে সুকান্ত সম্পর্কে কুন্তল কী জানিয়েছেন, তা স্পষ্ট উল্লেখ করেছিল ইডি।

কুন্তল ইডিকে জানিয়েছিলেন, তাপস মণ্ডল তাঁকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা তাঁর অর্থাৎ কুন্তলের কমিশন হিসাবে রেখে বাকি ৩ কোটি টাকা তিনি দিয়ে দেন গোপাল দলপতিকে। কুন্তলের বয়ান অনুযায়ী গোপালই তাঁকে সুকান্তের কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই ৩ কোটি টাকা পার্থের হাতে পৌঁছবে সুকান্তের মাধ্যমেই।

Advertisement

কুন্তল ইডিকে জানিয়েছে, গোপাল সে দিন সুকান্ত ছাড়াও পার্থ-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েক জনের নাম বলেছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন পার্থ সরকার ওরফে ভজা, যিনি বেহালায় পার্থের এলাকার কাউন্সিলর, প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি পার্থের দফতরে নিযুক্ত স্পেশ্যাল ডিউটি অফিসার এবং দীপক সরকার, যিনি পার্থের অফিসে বসতেন। সুকান্ত তখন পার্থের আপ্ত সহায়ক। কুন্তল ইডিকে জানিয়েছিলেন, ২০১৭-২০১৮ সাল নাগাদ তাজ হোটেলেও এক বার এই চার জনের এক জনের সঙ্গে লেনদেন সূত্রে দেখা হয় তাঁদের। গোপালের সঙ্গে নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাজ হোটেলে গিয়েছিলেন তিনিও। সেই টাকা নিতে সে দিন হাজির হয়েছিলেন প্রবীর।

ইডির সেই চার্জশিটে সুকান্তের নাম প্রকাশ্যে আসে গত ৪ এপ্রিল। তার এক মাসের মধ্যেই সিবিআই পৌঁছল সুকান্তের বাড়িতে। অবশ্য সুকান্ত যে পার্থের সবটাই জানতেন এবং তাঁর মাধ্যমেই যে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে নানা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে পার্থ যোগাযোগ রাখতেন, তা বিভিন্ন সূত্রে আগেই অনুধাবন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যার জন্য গত ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করার আগে সুকান্তকে তাঁর বাড়িতে আটক করেছিল ইডি। সেই সুকান্তের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালাল সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement