Mother

Jalpaiguri: মাকে খুন করে সারা রাত রক্তের মধ্যেই বসে রইলেন ছেলে! পুলিশে ধরালেন দিদি

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম বাবলী ওরাও। বয়স ৬২। তেলিপাড়া চা বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা তিনি। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ১৭:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতি দিন সকালে মেয়ের বাড়িতে চা খেতে যেতেন মা। সোমবার সকালে মা না-আসায়, তাঁকে ডাকতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হলেন মেয়ে। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে মায়ের নিথর দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। মায়ের দেহের পাশেই বসে রয়েছেন তাঁর ভাই। তিনিই খুন করেছেন তাঁর মাকে, এমনটাই অভিযোগ দিদির। মৃতার নাম বাবলি ওঁরাও (৬২)। দিদিই এর পর ভাইকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের তেলিপাড়া চা-বাগান এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবলির মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাশেই। রোজ সকালে তিনি মেয়ের বাড়িতে চা খেতে যান। কিন্তু সোমবার সকালে মা না-আসায় মেয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এর পর ঘরে মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতে পড়শিরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। মৃতার ছেলে উত্তম ওরাওকে গ্রেফতার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, টাকা নিয়ে বচসার সময় রবিবার রাতে মাকে খুন করেন ছেলে। খুনের পর রাতে ওই ঘরেই মায়ের দেহের পাশে কাটান ছেলে উত্তম।

পুলিশ সূত্রে খবর, তেলিপাড়া চা-বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা বাবলির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বৃদ্ধার পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাবলি প্রত্যেক দিন সকালে মেয়ের ঘরে চা খেতে যেতেন। সোমবার সকালে তিনি না যাওয়ায় সন্দেহ হয় মেয়ের। কী কারণে মা এলেন না, শরীর খারাপ হল কি না, তা দেখতে ঘরে এসে মায়ের দেহ দেখতে পান তিনি। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাবলির ছেলে উত্তমকে।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি কিছুই বলতে চাইছেন না বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি। বাবলির মেয়ে ও পড়শিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকাপয়সা নিয়ে মা এবং ছেলের মধ্যে প্রায়ই বচসা হয়। সম্প্রতি ২০ হাজার টাকা নিয়েও মা ও ছেলের মধ্যে বচসা হয়েছে। বাবলি সেই টাকা দিতে না পারায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আপাতত তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement